পর্যটন শিল্প রক্ষায় ভাবতে হবে এখনই

প্রকাশ | ২৬ মার্চ ২০২০, ১৬:৫৪ | আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২০, ১৭:১৫

মহিউদ্দিন হেলাল

স্থবির হয়ে পড়েছে বিশ্ব। থমকে গিয়েছে গোটা মানব জাতি। একটি মাত্র অদৃশ্য ভাইরাস-করোনা । বিজ্ঞানী ও গবেষক চিন্তিত - এর উৎপত্তির রহস্য, আচরণবিধি, রূপান্তর, গতিবিধি, প্রতিষেধক ও প্রতিকার নিয়ে। অর্থনিতিবিদ চিন্তিত- অর্থনীতির কাঠামো ও সুশীল বিন্যাস ভেঙে পড়ার আশঙ্কায়। সমাজবিজ্ঞানী চিন্তিত -সামাজিক বলয় ভেঙে অবক্ষয় ও অসহিংসতা বৃদ্ধির আশঙ্কায়। সারা বিশ্বের চিকিৎসক আজ তাদের মহৎ মানবসেবায় উজ্জীবিত।

প্রতিটি দেশের রাষ্ট্র প্রধানরা জনগণকে নিয়ে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ মোকাবেলায় উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে তার ভাষণে শুনিয়েছে – আশার বাণী , আমাদের করণীয় ও দিয়েছেন দিকনির্দেশনা। ঘোষণা করেছেন দুর্যোগ মোকাবেলায় সাধারণ জনগণ ও ব্যবসায়ীদের জন্য সুবিধা প্যাকেজ।

‘করোনাযুদ্ধে’ সারা বিশ্বে প্রথমত বন্ধ করা হয়েছে - এয়ারলাইন্স , তার প্রভাবে বন্ধ হয়ে পড়েছে হোটেল, রিসোর্ট, ক্রুজলাইন, রেস্টুরেন্ট ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ট্যুর অপারেটর  ও ট্রাভেল এজেন্সি। বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে পর্যটন শিল্প। অন্যান্য শিল্প দুর্যোগ কেটে যাওয়ার পরপরই উৎপাদন শুরু করতে অথবা গতিশীলতার আসতে পারলেও তেমনটির সম্ভাবনা নেই পর্যটন শিল্পে। পুনরায় পর্যটন শিল্পের গতি ফিরতে সময় লাগবে বছরখানেক।  এটি আমার ব্যক্তিগত অভিমত।

সঠিকভাবে এখনই পরিকল্পনা না করলে, সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী এই আপদকালীন সময় সরকারি প্রণোদনা না পেলে, বন্ধ হবে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, চাকরি হারাবে অনেক কর্মচারী। দেশের জন্য বাড়বে বেকারত্বের বোঝা। এই আপদকালীন সময় মোকাবেলার জন্য আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।

বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের বর্তমান ও দুর্যোগ পরবর্তী অবস্থা সম্পর্কে আগাম মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবরে উপস্থাপনের দায়িত্ব শিল্পসংশ্লিষ্ট সবার। সরকারি ও বেসরকারি সব ব্যক্তিবর্গের।ব্যক্তিগত ও সংগঠনিক পর্যায়ে।

এই দুর্যোগকাল মোকাবেলার জন্য কী কী করা যেতে পারে সে বিষয়ে অনতিবিলম্বে বিশেষজ্ঞ ও ব্যবসায়ীদের নিয়ে জাতীয়ভাবে ‘পর্যটন শিল্পে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি’  (Tourism Crisis Management Committee) গঠনের প্রস্তাব করছি।

লেখক: সম্পাদক, পর্যটন বিচিত্রা