করোনা: ২৪ ঘণ্টা সেবা দেবে নাগরিক ঐক্যের মেডিকেল টিম

প্রকাশ | ২৭ মার্চ ২০২০, ১৫:২২

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

মহামারি আকারে ধারণ করা করোনাভাইরাসে বাংলাদেশে দিনে দিনে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। ইতিমধ্যে মারা গেছেন পাঁচজন। তাই করোনায় আক্রান্তদের ২৪ ঘণ্টা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের দিয়ে সেবা দিতে মেডিক্যাল টিম গঠন করেছে মাহমুদুর রহমান মান্নার নেতৃত্বাধীন নাগরিক ঐক্য।

গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে কর্মরত দুজন চিকিৎসক ডা. শোয়েব মোহাম্মদ ও ডা. রুবাইয়া আনোয়ারের নেতৃত্বে চিকিৎসকদের এই টিম গঠন করা হয়েছে।

মেডিক্যাল টিমে আরও আছেন, ডা. রিফাত হাসান রনি, ডা. বুশরা সাদিয়া। টিমের চারজনই করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য সনদপ্রাপ্ত বলে জানিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আতিকুর রহমান।

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না জানিয়েছেন, নাগরিক ঐক্যের পক্ষ থেকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সহযোগিতায় আমরা ২৪ ঘণ্টা বিশেষজ্ঞ সেবা দিতে কাজ করছি। ইতোমধ্যে অনেকের সাড়া পেয়েছি। আমরা চাই, এই কঠিন সময়ে মানুষ সেবা পাক।

মান্না জানান, চিকিৎসকদের পাশাপাশি শতাধিক স্বেচ্ছাসেবী কাজ করবেন। একইভাবে দেশের কয়েকটি জেলায় সেবা প্রদানের জন্য চিকিৎসক এবং স্বেচ্ছাসেবকদের টিম গঠনের প্রক্রিয়া চলছে।

নিম্নোক্ত নম্বরগুলোতে কল করে ২৪ ঘণ্টার সেবা পাওয়া যাবে -

ডা. শোয়েব মোহাম্মদ (০১৭১৯-৪৩৫১৮৫)
ডা. রুবাইয়া আনোয়ার (০১৭০৬-৩৪০২৫৭)
ডা. রিফাত হাসান রনি (০১৬৮০-৭৩৩১৮৪)
ডা. বুশরা সাদিয়া (০১৮৮৪-৯০৭৭২৯)

আতিকুর রহমান জানান, দেশে করোনার চিকিৎসার উপকরণ যেমন পরীক্ষার কিট, ডাক্তারদের সুরক্ষা উপরকরণের অভাব থাকার পরও নাগরিক ঐক্যের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিক্যাল টিম প্রয়োজনে পারসোনাল প্রটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) ব্যবহার করে অক্সিজেন, নেবুলাইজার এবং প্রয়োজনীয় ওষুধসহ রোগীদের কাছে গিয়ে সেবা দেবে। তাদের করোনা পরীক্ষা এবং প্রয়োজন হলে সরকার অনুমোদিত হাসপাতালগুলোতে ভর্তি এবং পরবর্তী চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তিনি আরও জানান, নাগরিক ঐক্যের মেডিক্যাল টিমের সঙ্গে যোগাযোগের পর যাদের কোয়ারেন্টিন বা আইসোলেশনের পরামর্শ দেওয়া হবে, তারা তা পালন করছেন কিনা এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ পাচ্ছেন কিনা, তা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হবে।

টিমের সদস্য ডা. শোয়েব মোহাম্মদ ঢাকা টাইমসকে বলেন, গত দুদিন ধরে আমাদের সেবাটা চালু হয়েছে। দুর্যোগের সময় মানু্ষের পাশে থাকার চেষ্টা করছি। প্রত্যেকে দৈনিক গড়ে ত্রিশটির মতো ফোন কল পাচ্ছি।'

(ঢাকাটাইমস/২৭মার্চ/বিইউ/ইএস)