নবীনদের লিটন-মুশফিককে অনুসরণ করার পরামর্শ তামিমের

ক্রীড়া ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৭ মার্চ ২০২০, ১৭:৩১ | প্রকাশিত : ২৭ মার্চ ২০২০, ১৬:০২

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে পুরো বিশ্ব থমকে গেছে। একের পর এক ব্যাহত হচ্ছে আন্তর্জাতিক ক্রীড়াযজ্ঞ। মারণ ভাইরাস কোভিড-১৯ এড়াতে বাংলাদেশের ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক সব ধরনের ক্রিকেটেই পড়েছে অনির্দিষ্টকালের স্থগিতাবস্থা। অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সামাল দিতে পুরো বাংলাদেশে এখন দশদিনের ‘লকডাউন’ চলছে। ফলে বাড়িতে অলস সময়ই পার করছেন বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের সদ্য নিযুক্ত অধিনায়ক তামিম ইকবাল খান। এই সময়ে জনপ্রিয় ক্রীড়া সংবাদমাধ্যম ক্রিকইনফোকে একান্ত সাক্ষাৎকারে দল নিয়ে নিজের পরিকল্পনা জানান দিলেন এই টাইগার কাপ্তান।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডের আগে অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। মাশরাফির নেতৃত্ব ছাড়ার দুদিন পরই বোর্ড সভায় নতুন অধিনায়ক হিসেবে তামিম ইকবালের নাম ঘোষণা করা হয়। ভারপ্রাপ্ত হিসেবে আরোও দু’বার দায়িত্ব পালন করা খান সাহেব পূর্ণ দায়িত্ব পেয়ে জানালেন দলকে নিয়ে নিজের পরিকল্পনার কথা।

জনপ্রিয় ক্রিকেট সংবাদমাধ্যম ক্রিকইনফোকে দেওয়া সাক্ষাতকারে নিজের রূপরেখা তুলে ধরেছেন তামিম। সাক্ষাতকারটি হুবহু তুলে ধরা হলো।

মহামারী করোনাভাইরাসের মোকাবেলা কীভাবে করছেন এবং কী করছেন এই সময়ে?

তামিম: আমি পুরোপুরিভাবে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছি, কারো সঙ্গে দেখা করছি না। সৌভাগ্যবশত আমার বাড়িতে একটি ট্রেডমিল রয়েছে, এর দ্বারাই সকালে দৌঁড়ের কাজটি করে ফেলি। দিনের বাকি অংশে বাচ্চাদের সঙ্গে কাটাই। করোনাভাইরাসে পুরো পৃথিবীতে অস্থির অবস্থা বিরাজ করছে। আমরা একত্রিত হয়ে কাজ করতে পারলেই কেবল এই মহামারী থেকে বাঁচতে পারব।

দলের নেতৃত্ব গ্রহণের পর কী ভাবছেন?

তামিম: দেখুন, আমাদের দলে দু’ধরনের ক্রিকেটার রয়েছে। তাদের মধ্যে একদল একেবারেই নবীন, অন্যদল লিটন দাসের মতো; যারা চার-পাঁচ বছর ধরে দলে পারফর্ম করছে। দলের নতুন অধিনায়কের অবশ্যই ভালো পারফর্ম করা খেলোয়াড়দের প্রত্যক্ষভাবে লক্ষ্য করতে হবে। সেইসব বিষয় মাথায় রেখেই দলের সিনিয়র খেলোয়াড় হিসেবে বোর্ড আমাকে দায়িত্ব দিয়েছে।

নবনিযুক্ত ক্যাপ্টেন হিসেবে দলকে নিয়ে কী পরিকল্পনা?

তামিম: প্রাথমিকভাবে মাঠের বাইরেই সব ছক আঁকতে হবে। মাঠে থেকে আপনি পুরো পরিকল্পনা করতে পারবেন না। পরিকল্পনামাফিক আগালে আশা করি সাফল্য পাব। সবাইকে ধৈর্য্য ধরতে হবে, রাতারাতি সাফল্য কামনা করাটা অযৌক্তিক।

বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ওডিআই দলের অধিনায়কত্ব খুব জটিল দায়িত্ব। আপনিও কী তাই মনে করেন?

তামিম: বাংলাদেশ ক্রিকেটে ওয়ানডে দলের নেতৃত্ব দেওয়া নিঃসন্দেহে চ্যালেঞ্জিং। দায়িত্ব নেওয়ার শুরুতেই অনেক বিষয় সামনে আসছে, নতুন অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফি ভাইয়ের জায়গা পূরণ করতে পারব না। আমি সমালোচনা কানে না নিয়ে নিজ দায়িত্বে পূর্ণ মনোযোগ দিতে চাই। পরিকল্পনামাফিক এগিয়ে যেতে পারলে আমি বিশ্বাস করি এই দলকে নিয়ে ভালো কিছু করা সম্ভব।

আপনি কী নিজের অতীত সাফল্য থেকে অনুপ্রেরণা লাভ করেন?

তামিম: অফ-ফর্মের পর আমি ভাবতে পারিনি পুরোনো রূপে ফেরত যেতে পারব। আমি নিজের পথে চলেছি। ফর্মে ফেরার পেছনে কিছু বিষয় লক্ষণীয়, আমি নেটে প্রচুর অনুশীলন করেছি, যেটি আমার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। আমি মনে করি, আত্মবিশ্বাসের মাধ্যমে অনেক কিছু অর্জন করেছি। অতীত সময় অনেক কিছু পেয়েছি, কিন্তু আসন্ন দিনগুলো আরো ভালো করে রাঙাতে চাই। অতীতের দিকে ফিরে তাকাতে চাই না, এটি আমাকে সাহায্য করবে না; বরং আমি নিজের সঙ্গেই চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করি।

অধিনায়ক হিসেবে তরুণ খেলোয়াড়দের থেকে কী প্রত্যাশা করছেন?

তামিম: দলের প্রত্যেক খেলোয়াড়েরই উচিত নিজ পারফর্মেন্সে মনোযোগী হওয়া। আপনি যখন এক ম্যাচ ভালো খেলেন, স্বাভাবিকভাবেই ভালো করার আত্মবিশ্বাস চলে আসবে। যেমন ধরুন লিটন দাস, সে প্রতিটি ম্যাচেই ৭০-৮০ রান রাখার চেষ্টা করে। দিনদিনই তার রানক্ষুধা বাড়ছে। প্রত্যেক খেলোয়াড়ের মধ্যেই এমনটা দেখতে আমি পছন্দ করব। মুশফিকুর রহিমও উৎকৃষ্ট উদাহরণ। নিজের পারফর্মেন্সে সে কখনোই সন্তুষ্ট থাকে না। ভালো করার জন্য সে প্রচুর পরিশ্রম করে থাকে। আর যখন ভালো করে, তখন নিজের পারফর্মেন্সে আরো উন্নতি করতে চেষ্টা করে। প্রত্যেক খেলোয়াড়ই যদি লিটন-মুশফিকের মতো করে চিন্তা করে, তাহলে দলের অধিনায়ক, কোচিং স্টাফ তথা সবার জন্যই বিষয়টা সহজ হয়ে দাঁড়াবে।

সাক্ষাৎকারে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদেরও বন্দনা গেয়েছেন তামিম। তিনি বলেন, ‘মুশফিক ও রিয়াদ ভাইকে আমার থেকে ভালো অধিনায়ক মনে করি। নেতৃত্বের শুরুতে তাদের মানসিক সমর্থন কামনা করব। আমি মনে করি তিন ফরম্যাটের অধিনায়কেরা প্রত্যেক ম্যাচেই সমানভাবে অবদান রাখলে ম্যাচটি আমাদের জন্য অনেক সহজ হয়ে যাবে।

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য দেশীয় ক্রিকেটে পড়েছে নিষেধাজ্ঞা। কোভিড-১৯’র তোপে দেশে অস্থির অবস্থা বিরাজ করছে। দেশের এমন

টালমাটাল অবস্থায় তামিম ইকবালের নেতৃত্বে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা প্রধানমন্ত্রীর দুর্যোগ খাতে প্রায় ২৬ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছেন।

(ঢাকাটাইমস/২৭ মার্চ/এআইএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

খেলাধুলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

খেলাধুলা এর সর্বশেষ

জিম্বাবুয়ে সিরিজের শুরুতে মুস্তাফিজের খেলা নিয়ে যা জানাল বিসিবি

যে কারণে বাংলাদেশের প্রাথমিক দলে নেই সাকিব-মুস্তাফিজ

আইসিসির আন্তর্জাতিক প্যানেলে যুক্ত হলেন বাংলাদেশি আম্পায়ার মোর্শেদ

বড় চমক রেখে জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য বাংলাদেশের প্রাথমিক দল ঘোষণা

টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে সিলেটে পৌঁছেছে হারমানপ্রীত-স্মৃতি মানদানারা

তীব্র গরমে ফ্লাডলাইটে ফুটবল ম্যাচের সিদ্ধান্ত

জাতীয় দলে ফেরা নিয়ে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানালেন সুনীল নারিন

 হাথুরুর সঙ্গে নির্বাচকদের বৈঠক সম্পন্ন, আলোচনা হলো যা নিয়ে

মুস্তাফিজের আইপিএল ছাড়া নিয়ে যা বললেন চেন্নাই কোচ

ঢাকায় পৌঁছেছেন টাইগারদের নতুন কোচ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :