করোনায় আক্রান্ত মা কি স্তন্যদান করতে পারবেন?

স্বাস্থ্য ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৭ মার্চ ২০২০, ১৬:৪৬ | প্রকাশিত : ২৭ মার্চ ২০২০, ১৬:২৫

সারা বিশ্বে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকির মধ্যে সবাই। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত থেকে রেহাই পাচ্ছে না শিশুরাও। মা-সন্তানের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হচ্ছে। এ অবস্থায় সন্তানদের সুরক্ষায় মায়েদের এগিয়ে আসতে হবে। আবার অনেক মা জনসমক্ষে সন্তানকে স্তন্যপান করাতে লজ্জাপান। অনেকে আবার ভ্রান্ত ধারণা যেমন করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় স্তন্যপানই করান না। স্তন্যপান না করালে আপনার স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি থেকে যায়।

করোনায় আক্রান্ত মা তার সন্তানকে স্তন্যদান করতে পারবেন কিনা। মায়ের শরীরের জীবাণূ সন্তানের শরীরে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা কতটুকু। যেসব মা আক্রান্ত এবং ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় রয়েছেন এবং জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্টের লক্ষণ রয়েছে, তাঁদের দ্রুত চিকিৎসাসেবা নিতে হবে এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের পরামর্শ মেনে চলতে হবে।

মায়ের বুকের দুধের উপকারিতার বিষয়টি বিবেচনা করে এবং শ্বাসকষ্টজনিত অন্য ভাইরাস ছড়ানোর ক্ষেত্রে মায়ের দুধের তেমন কোনো ভূমিকা না থাকায় মা সন্তানকে দুধ খাওয়ানো অব্যাহত রাখতে পারেন। তবে এর আগে অবশ্যই তাঁকে সব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। লক্ষণ রয়েছে মায়েরাও দুধ খাওয়াতে পারবেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত মা তার সন্তানকে নিশ্চিন্তে স্তন্যদান করতে পারেন। তবে তাকে কিছু সাবধানতা বা নির্দেশ মেনে স্তন্যদান করতে হবে:

স্তন্যদানের সময় মাস্ক পরুন। শিশুকে স্পর্শের আগে হাত ধুয়ে স্যানিটাইজড করে নিন।

স্তন পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত করুন তার আগে। করোনাভাইরাসযুক্ত কোনও মা যদি বুকের দুধ সরাসরি খাওয়াতে না পারেন তাহলে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করতে পারেন

দুধ বের করে আনুন সরাসরি স্তন্য দিতে না পারলে মা স্তন থেকে দুধ বের করে নিন। যা পরবর্তী সময়ে শিশুকে সংরক্ষণ করে খাওয়তে পারেন। হাত দিয়ে বা স্তন পাম্পের সাহায্যে দুধ নিজেই বের করতে পারেন মা। সেক্ষেত্রে জীবাণু সংক্রমণের সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়।

দুধ পাম্প করে বের করে জমিয়ে রেখে পরে তা শিশুকে খাওয়ানো যেতে পারে।

কিছুদিন স্তন্যদান বন্ধ রাখতে পারেন এই সময়। তারপর সমস্যা কিছুটা কমলে ফের স্তন্যদান করা যেতেই পারে। যখন বাচ্চাকে ব্রেস্টফিড করান সেই সময় অবশ্যই নার্সিং ব্রা ব্যবহার করুন। যারা নার্সিং ব্রা ব্যবহার করেন না, তারা অবশ্যই ব্রেস্ট প্যাড ব্যবহার করুন। চেষ্টা করবেন কটনের ব্রেস্ট প্যাড ব্যবহার করতে। এর ফলে আপনার স্তনবৃন্ত এবং পোশাক সুরক্ষিত থাকবে।

অন্যের স্তন্যদুগ্ধ গর্ভাধার দানের মতোই মাতৃদুগ্ধ দানেরও প্রচলন আছে। অনেক সময় অনেক মা পাম্প করে অতিরিক্ত দুধ বের করে দেন। সেই দুধ না ফেলে পাত্রে ধরে পাস্তুরাইজেশন করে শিশুকে পান করানো যেতেই পারে। সেক্ষেত্রে দুধ ধরে রাখার পাত্র যেন জীবাণুমুক্ত হয়।

গর্ভবতীরাও বারেবারে হাত ধোবেন। নিজেদের আলাদা রাখার চেষ্টা করবেন। নিজের ব্যবহৃত জিনিস অন্যদের ব্যবহার করতে দেবেন না। চিকিৎসকের নির্দেশ মানবেন। নাকে-মুখে-চোখে হাত দেবেন না।

(ঢাকাটাইমস/২৭ মার্চ/আরজেড/এজেড)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :