নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত সানাউল্লাহ মিয়া

প্রকাশ | ২৭ মার্চ ২০২০, ১৭:০৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
সম্প্রতি অসুস্থ অবস্থায় সুপ্রিম কোর্টে এসেছিলেন প্রবীণ এই আইনজীবী

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়ার গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তিনি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মুমূর্ষু অবস্থায় আছেন। শুক্রবার তার পারিবারিক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সানাউল্লাহ মিয়া দীর্ঘদিন ধরে কিডনিজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। এছাড়া গত বছরের ৩ জানুয়ারি তিনি মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণজনিত সমস্যায় (স্ট্রোক) আক্রান্ত হন। ওই সময় তাকে রাজধানীর নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশেও নিয়ে যাওয়া হয়। সেই থেকে তার মুখের বাঁ পাশ বেঁকে যায়।

সানাউল্লাহ মিয়ার বড় ছেলে শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গতকাল রাত থেকে বাবার শরীর প্রচণ্ড খারাপ হলে তাকে গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে এনে ভর্তি করানো হয়। গতকাল পর্যন্ত তিনি হাসপাতালের সিসিইউতে ছিলেন। পরে প্রচণ্ড খিঁচুনি ওঠায় তাকে অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়েছিল। কিন্তু আজ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তিনি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। এখন উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্য হাসপাতালের আইসিইউতে নেওয়া হচ্ছে।’

প্রায় তিনযুগ ধরে আইনপেশার পাশাপাশি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত সানাউল্লাহ মিয়া। ১৯৭৯ সালে ঢাকা সিটি কলেজে ল’ পড়ার সময়ে শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এরপর ঢাকা মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক, ১৯৮০ সালে কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হন। ১৯৮২ সালে ঢাকা মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ১৯৮৩ সালে তাকে ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য করা হয়। ১৯৮৫ সালের ৩ মার্চ আইনজীবী হওয়ার পর ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত ঢাকা মহানগরের সহ-আইন সম্পাদক ছিলেন তিনি।

১৯৯৩ সালে মহানগরের আইন সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ১৯৯১ সালে তিন মাসের জন্য ঢাকা জজকোর্টে বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) করা হয় তাকে। তখন তার দায়িত্ব ছিলো সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের বিরুদ্ধে মামলা পরিচালনা করা। দলের জন্য আইন অঙ্গণে ও রাজপথে সক্রিয় সানাউল্লাহ মিয়া নিজ এলাকা নরসিংদী-৩ আসন থেকে নির্বাচন করার জন্যও প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। ১৯৯১ সালের নির্বাচনের সময় থেকে মনোনয়ন নেয়ার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত মনোনয়নের দেখা পাননি। একাদশ সংসদ নির্বাচনে দল থেকে মনোনয়ন পাবেন এটা অনেকটা নিশ্চিত ছিলেন সানাউল্লাহ মিয়া এবং তার অনুসারীরা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন বঞ্ছিত হন তিনি।

গুঞ্জন আছে, দলের এই সিদ্ধান্তে বেশ আহত হন তিনি। এর কিছুদিন পরেই তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন।

(ঢাকাটাইমস/২৭মার্চ/এইচএফ/জেবি)