`শ্রমিকদের বুঝাতে হবে এটা ঈদের ছুটি না'

প্রকাশ | ২৭ মার্চ ২০২০, ১৯:২১

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

করোনাভাইরাসের কারণে ছুটি পেয়ে শ্রমিকরা যেন ঘোরাঘুরি না করে। যে যেখানে অবস্থান করছে সে যেন সেখানেই অবস্থান করে তা নিশ্চিত করার জন্য সদস্যভুক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রতি আহবান জানিয়েছে বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ)।

শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিকেএমইএ বলেছে, তারা ৪ এপ্রিল পর‌্যন্ত গার্মেন্ট কারখানা বন্ধ রাখার ব্যাপারে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে সদস্যদের।

বিকেএমইএর সদস্যভুক্ত করখানা মালিকের উদ্দেশে সংগঠনের সভাপতি সেলিম ওসমান বলেন, শ্রমিকদেরকে বুঝাতে হবে, এটা কোনো ঈদ বা উৎসবের ছুটি নয়। তাই যে যেখানে অবস্থান করে, তাকে সেখানেই থাকতে হবে।

সেলিম ওসমান গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, সদ্যদের তারা জানিয়েছে করোনার সংক্রমন থেকে দেশ ও দেশের মানুষকে বাঁচাতে নীট পোশাক কারখানা আপাতত ৪ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ রাখার  

বিকেএমইএ এর সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান বলেন,  সংক্রমনের যে ক্ষতিকর প্রভাব বাংলাদেশে পড়েছে, তা থেকে দেশ ও দেশের মানুষকে বাঁচানোই এ মুহূর্তে আমাদের সবার লক্ষ্য। মানুষ বাঁচলে শিল্প বাঁচবে এবং শিল্প বাঁচলে দেশ সমৃদ্ধ হবে। এজন্যই দেশের স্বার্থে সরকার সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে। বিকেএমইএ থেকেও ইতোপূর্বে গত ২৫মার্চ চিঠির  মাধ্যমে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত কারখানা বন্ধ রাখার  অনুরোধ জানানো হয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রপ্তানীমুখী শিল্পকে করোনা আক্রান্তঅর্থনৈতিক মন্দা থেকে রক্ষার জন্য বিশাল প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। এছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা এই শিল্পখাতের জন্য প্রদান করেছেন। এমন প্রেক্ষাপটে আমাদের কারণে কোনো শ্রমিকের যেন কোনোরূপ ক্ষতি না হয়, সেজন্য কোনোভাবেই

আতঙ্কিত না হয়ে, দেশ ও দেশের মানুষকে বাঁচানোর জন্য সরকারের সিদ্ধান্তের সাথে সাদৃশ্য রেখে

বিকেএমইএ’র সদস্যভুক্ত সকল নীট পোশাক কারখানা আপাতত ৪ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ রাখার বিশেষ নির্দেশনা জারি করা হল।

নির্দেশনায় বলা হয়, কারখানা ছুটিকালীন সময়ে কারখানার শ্রমিকরা যে যেখানে অবস্থান করছে সে যেন সেখানেই অবস্থান করে তা নিশ্চিত করতে হবে। তারদেরকে বুঝাতে হবে, এটা কোনো ঈদ বা উৎসবের ছুটি নয়। তাই যে যেখানে অবস্থান করে, তাকে সেখানেই থাকতে হবে।

প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল জরুরি দেশের সরকারি-বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এছাড়া দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৩১ মার্চ থেকে বাড়িয়ে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এরই মধ্যে নৌ-পরিবহন, ট্রেন, বাস বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এছাড়া রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন এলাকা লক ডাউন করা হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/২৭মার্চ/জেআর/ইএস)