চিকিৎসকদের পরেই ব্যাংকারদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে

প্রকাশ | ২৭ মার্চ ২০২০, ২০:২০ | আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২০, ২১:০৭

মির্জা ইয়াহিয়া

সারাদেশই যেন কোয়ারেন্টিন পরিস্থিতির মধ্যে আছে। হয়তো নোয়াখালীর কোনো ভবন, পাবনার কোনো গ্রাম লকডাউন করে দেয়া হচ্ছে। শিবচর তো লকডাউন হয়ে আছেই। এমনকি নিয়ম লঙ্ঘন করে চলার কারণে একটি লঞ্চকে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। এসব খবর দেখা যাচ্ছে টিভিতে। বাসায় বসে 'ঘরবন্দী' হয়েই টিভিই তথ্য জানার প্রধান মিডিয়া এখন। তারা ফাঁকা ঢাকার শহর দেখাচ্ছে।
আমার জীবনে ঢাকা শহর আর কখনো এতটা জনমানবহীন দেখিনি। এমনকি ঈদের ছুটিতেও না। রাস্তায় কোনো লোকজন নেই। অফিস-আদালত, দোকান-পাট বন্ধ। প্রশাসনের নিরাপত্তা বাহিনীর টহলের মাঝে কিছু ফার্মেসি হয়তো খোলা। আর খোলা রাস্তার পাশে এটিএম বুথ।

সেখানে নিরাপত্তাকর্মীদের ডিউটি করতে হচ্ছে আগের মতোই। ব্যাংকসেবায় সরাসরি জড়িত বলেই তাদেরও আসলে কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতে হচ্ছে। কারণ টাকা লেনদেন তো সবাইকে করতেই হবে। তাই এটিএম সেবা, ইন্টারনেট ব্যাংকিং ২৪ ঘন্টাই চালু থাকছে।

এসব সেবার সঙ্গে জড়িতদের কাজ করতেই হচ্ছে। অন্যদিকে এই লকডাউন পরিস্থিতির মাঝে আগামী রোববার থেকে ব্যাংকের শাখাগুলো নির্দিষ্ট কিছু সময় খোলা থাকবে। শাখায় টাকার লেনদেনের সঙ্গে যারা সরাসরি যুক্ত তাদের কাজে যেতে হবে। ব্রাঞ্চ ম্যানেজারদের বিষয়গুলো তদারক করে যেতে হবে।

আবার ব্যাংকের হেড অফিসগুলোর কিছু ডিভিশন, যারা ব্যাংকিংয়ের বেসিক কাজে যুক্ত, তাদের অফিস করতে হবে। তাই বলা যায়, ব্যাংকিং সেক্টরের সবাইকে এই পরিস্থিতিতেও সেবার সঙ্গে যুক্তই থাকতে হচ্ছে। যারা হেড অফিসে বা ব্রাঞ্চে থাকবে, তাদের জন্য হয়তো সব ধরনের স্বাস্থ্য নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।

তারপরও আমি বলবো ডাক্তারদের পর সবচেয়ে বেশি সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে যেতে হচ্ছে ব্যাংকারদের। ব্যাংক সেক্টরের সেবার সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে জড়িতে সবাইকে তাই আমার পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ। এভাবেই সবসময় জনগণকে সেবা দিয়ে যাবেন, এই প্রত্যাশা রইলো।

[ফেসবুক থেকে নেওয়া]

ঢাকাটাইমস/২৭মার্চ/এসকেএস