ইতালিতে একদিনে মৃতের সংখ্যা হাজার ছুঁইছুঁই

প্রকাশ | ২৭ মার্চ ২০২০, ২৩:৪৪ | আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২০, ২৩:৫২

কমরেড খোন্দকার, ইউরোপ ব্যুরো

বিশ্বব্যাপী ভয়াবহ আকার ধারণ করা মহামারি করোনাভাইরাস ইতালিতে আরও মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মৃতের সংখ্যা হাজারের কোটা ছুঁইছুঁই। শুক্রবার মারা গেছে ৯৬৯ জন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে নয় হাজার ১৩৪ জনে। এর মধ্যে মেডিকেল টিমের সদস্য রয়েছেন ৪০ জন।

একদিনে নতুন আক্রান্ত পাঁচ হাজার ৯০৯ জন। দেশটিতে গুরুতর অসুস্থ রোগীর সংখ্যা তিন হাজার ৭৩২ জন। চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন দশ হাজার ৯৫০ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫৮৯ জন, যা গতকালের চেয়ে কম। এ নিয়ে দেশটিতে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৮৬ হাজার ৪৯৮ জন। বর্তমানে চিকিৎধীন আছেন ৬৬ হাজার ৪১৪ জন।

দেশটির প্রধানমন্ত্রী জোসেপ্পে কন্তে বলেছেন, আমরা দেশের উৎপাদন ইঞ্জিনের গতি ধীর করব, কিন্তু বন্ধ করব না। তিনি বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইতালি বর্তমানে কঠিন সময় পার করছে। তবে দেশের এই কঠিনতম সময় সহসাই কাটিয়ে উঠার আশ্বাস দেন তিনি।

ইতালির ২০ অঞ্চলের মধ্যে লোম্বারদিয়ায় করোনায় সবচেয়ে বেশি  আক্রান্ত (মিলান, বেরগামো, ব্রেসিয়া, ক্রেমনাসহ) ১১টি প্রদেশ। আজ এ অঞ্চলে মারা গেছেন ৫৪১ জন। শুধু এ অঞ্চলেই মৃতের সংখ্যা বেড়ে পাঁচ হাজার ৪০২ জনে দাঁড়িয়েছে এবং মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩৭ হাজার ২৯৮ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্ত দুই হাজার ৪০৯ জন।

লোম্বারদিয়ার প্রেসিডেন্ট আত্তিলিয়ো ফোনতানা শুক্রবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, পূর্বঘোষিত পদক্ষেপে ‘জরুরি’ সরবরাহ ব্যবস্থা ছাড়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সবধরনের কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল, সড়ক ও রেলপথ বাদে সব ধরনের নির্মাণ কাজও বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। এছাড়া বাড়ির বাইরে সব ধরনের খেলাধুলা ও ব্যায়াম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ আইন অমান্যকারীকে ৪০০ থেকে তিন হাজার ইউরো জরিমানা করা হবে।

এদিকে সুপার মার্কেট, ফার্মেসি, পোস্ট অফিস ও ব্যাংক খোলা থাকবে এবং গণপরিবহনও সচল থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি আরও বলেন, ফেয়ারা মিলানোতে অস্থায়ী হাসপাতাল নির্মাণের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। আগামী সপ্তাহের প্রথম দিকে এই অস্থায়ী হাসপাতাল উদ্বোধন করা হবে। নতুন এ হাসপাতালটি পলি ক্লিনিকের তত্ত্বাবধানে থাকবে।

দেশটির প্রায় ছয় কোটি জনগণকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় দেড় লাখ বাংলাদেশিও রয়েছেন। করোনাভাইরাসের প্রভাবে দেশটিতে জারি করা জরুরি অবস্থার মধ্যে বেকারের সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে। গোটা ইতালি এখন থমকে আছে। অর্থনৈতিক পরিস্থিতি চরম হুমকিতে। কোনো পর্যটক দেশটিতে প্রবেশ করতে পারছেন না। দুই দফা বাড়িয়ে আপাতত ৩ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার।

(ঢাকাটাইমস/২৭মার্চ/এলএ/জেবি)