এভাবে বেঁচে থাকা, বেঁচে থাকা নয়: ইরফান সাজ্জাদ

প্রকাশ | ২৮ মার্চ ২০২০, ১০:২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

করোনাভাইরাসের কবলে পড়ে ঢাকা নগরী এখন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। বিরাণ এ শহরে প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না কেউ। তবে দিন এনে দিন খাওয়া মানুষের পেটে টান পড়ছে ক্ষুধার জন্য। এজন্য তারা কাজের খোজে বাইরে আসছে। কাজ নেই, পকেটে টকা নেই। কীভাবে ক্ষুধা নিবারণ হবে? এসব অসহায় ক্ষুধা পীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে অভিনয় শিল্পী ইরফান সাজ্জাদ।

তিনি ফেসবুক লিখেছেন, এভাবে বেঁচে থাকা, বেঁচে থাকা নয়। মিডিয়া, অনলাইন, ফেসবুকসহ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নানা রকম সংবাদ প্রতিদিন শোনা যাচ্ছে দেখা যাচ্ছে। কিন্তু বাস্তবতা হয়ত তার থেকেও কঠিন, তার থেকেও নিষ্ঠুর। যা হয়ত আমার বা আপানর অনেকেরই সহ্য ক্ষমতার বাইরে।

আমি খুব অকপটে আমার একটা ব্যাক্তি অভিজ্ঞতা শেয়ার করছি। আল্লাহপাক আমাকে যথেষ্ট ভালো রেখেছেন, অর্থাৎ এইরকম দুর্যোগে নিজেকে ও নিজের পরিবারকে বাঁচিয়ে রাখার ক্ষমতা দান করছেন। আমার মত আরও অনেকে হয়ত এই সমাজে আছেন। কিন্তু আমি বা আমরাই (অর্থনৈতিক ভাবে যারা স্বাবলম্বী) শেষ কথা নয়।

আমি আজ বিকালে ফ্রুটস ও কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে বাসার বাইরে যাই। এটা জানায় ছিল আমার চিরচেনা উত্তরা তার চেনা ঢঙে নাই। একটা থমথমে ভাব চারপাশে। এই সবকিছু পাশকাটিয়ে যে ব্যাপারটা ছিল আমার সহ্য ক্ষমতার বাইরে। প্রতিটি রিকসাওয়ালার মলিন চেহারা। দুপয়সা ইনকাম তো দূরের কথা তারা জমার টাকাটা পর্যন্ত তুলতে পারছে না।

শুধু রিকসাওয়ালা নয় যারা দিন এনে দিন খায় কনসট্রাকসন শ্রমিক, রাস্তায় কাজ করা মানুষটা, বাদাম বিক্রেতা, হকার তাদের অবস্থা এতটাই নাজুক যে চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। আমি আমার সামর্থ্যমত এই মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি।

ব্যাক্তি অভিজ্ঞতা থেকে বলছি কেউ যখন কোনো প্রয়োজনীয় কাজে বাইরে যাবেন দয়া করে সাথে কিছু অতিরিক্ত টাকা নিয়ে যাবেন অন্তত এই মানুষগুলোর জন্য । সকল উচ্চ মধবিত্ত ও উচ্চবিত্তদের আমি বিনীতভাবে অনুরোধ করছি দিন এনে দিন খাওয়া মানুষের পাশে দাঁড়ান।

এইটা আপনার ও আমার সামাজিক ও মানবিক দায়বদ্ধতা। নয়তো জন্ম নিতে পারে আশঙ্কার বাইরে কোনো দুর্ভিক্ষ । তখন ক্ষমা করতে পারা যাবে না হয়ত আর নিজকে। হয়ত সবাই জানেন তারপরও একটু মনে করিয়ে দিচ্ছি এই সংকট কাটিয়ে উঠলে দেশ গড়ার শ্রমিক কিন্তু তারাই।

তাদের জন্যই দেশিও অর্থনীতির চাকা থাকে সচল। এই মানুষগুলোকে পাশ কাটিয়ে নিজে ভালো থাকা বা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে এভাবে বেঁচে থাকা, বেঁচে থাকা নয়।

ঢাকাটাইমস/২৮মার্চ/এসকেএস