সুস্থ হয়ে উঠছেন দিবালা

প্রকাশ | ২৮ মার্চ ২০২০, ১৫:১৯ | আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২০, ১৫:২৪

ক্রীড়া ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

বিশ্বজুড়ে চলছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের মারাত্মক প্রতাপ। চীনে থেকে ছড়িয়ে পড়া এই মারণ ভাইরাসের তোপে লণ্ডভণ্ড ইতালি, স্পেন, যুক্তরাষ্ট্রের মতো শক্তিশালী দেশগুলোও। সংক্রমণের দিক থেকে উৎপত্তিস্থল চীনকেও ছাড়িয়ে গেছে ইতালি। যার প্রভাব ইতালিয়ান ফুটবলেও পড়েছে, আক্রান্ত হয়েছেন ইতালিয়ান জায়ান্ট ক্লাব জভেন্টাসের একাধিক ফুটবলার। তবে স্বস্তির সংবাদ হলো কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত জুভেন্টাসের আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড পাওলো দিবালা আগের থেকে কিছুটা সুস্থ। শারীরিক উন্নতির সময়ে জানালেন করোনায় কাটানো কষ্টের কঠিন সময়গুলোর কথা।

করোনাভাইরাসে পর্যদুস্ত ইতালিতে জুভেন্টাসের তিন ফুটবলার পরপর সংক্রমিত হয়। দ্যানিয়েল রুগানি, ব্লেইস মাতুইদির পর সংক্রমণ ঘটে দিবালার শরীরে। তবে এখন আগের থেকে সুস্থ আছেন এই আর্জন্টাইন। সুস্থ হয়ে জানালেন কীভাবে তিনি শ্বাসকষ্টে শিকার হয়েছিলেন এবং পাঁচ মিনিট ট্রেনিং করলেই কতটা ক্লান্ত হয়ে পড়ছিলেন।

এখন অনেকটাই সুস্থ বোধ করছেন। কিন্তু ফেলে আসা এই কয়েকটা দিন ঠিক কতটা কঠিন ছিল জুভেন্টাস তারকা পাওলো দিবা‌লা ও তার বান্ধবীর জন্য তা না শুনলে বোঝা মুশকিল। যখন করোনাভাইরাসে রীতিমতো বিধ্বস্ত গোটা বিশ্ব তখন তার প্রভাব খুব বেশি পরিমানে পড়েছিল ফুটবলে। অনেক তারকাই আক্রান্ত হয়েছিলেন। বিশেষ করে জুভেন্টাস ক্লাবের উপর অনেকটাই প্রভাব পড়েছিল তার। সেখান থেকে ধীরে ধীরে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরছেন ফুটবলাররা।

শুক্রবার জুভেন্টাস টিভিকে সেই কথাই শুনিয়েছেন দিবালা। ইতালি জুড়ে যে মৃত্যু মিছিল চলছে তা রীতিমতো আতঙ্কিত করে তুলেছে গোটা বিশ্বকে। একই দৃশ্য দেখা গিয়েছে স্পেনেও। আমেরিকা, ইউরোপও হাঁটছে সেই পথে। এর থেকে বাঁচার রাস্তা খুঁজে পাচ্ছেন না বিশ্বের তাবড় তাবড় বিজ্ঞানী, ডাক্তার।

গত শনিবারই দিবালা জানিয়েছিলেন, জুভেন্টাসের যে তিন প্লেয়ার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তাদের মধ্যে তিনিই একজন। এছাড়া আক্রান্ত ড্যানিয়েল রুগানি ও ব্লেইস মাতুইদি। যাদের মধ্যে কোনও উপসর্গ ছিল না।

জুভেন্টাস টিভিকে দিবালা বলেন, ‘আমি খুব খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গিয়ে এখন অনেকটাই সুস্থ। কিছুদিন আগে আমি মোটেও ভালো ছিলাম না। শরীরকে ভারী মনে হচ্ছিল আর পাঁচ মিনিটের মুভমেন্ট করার পর আমার শ্বাস নিতে কষ্ট হতে শুরু করে।’

এর সঙ্গে তিনি জুড়ে দেন, ‘এখন আমি চলাফেরা করতে পারছি, ট্রেনিংও শুরু করব কারণ আগের কয়েকদিন ট্রেনিং করতে গিয়ে সমস্যা হচ্ছিল। পাঁচ মিনিট ট্রেনিং করলেই আমি ক্লান্ত হয়ে পড়ছিলাম। শ্বাসের সমস্যা হচ্ছিল। এখন আমি ঠিক আছি, আমার বান্ধবী ওরিয়ানাো অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছে।’

দিবালা সুস্থ হয়ে ওঠায় স্বস্তি জুভেন্টাস শিবিরে। যদিও মাঠে ফেরার রাস্তা কবে খুলবে তা জানে না কেউ। এই পরিস্থিতিতে নিজের গোলের স্মৃতি রোমন্থন করেই সময় কাটছে দিবালার। তেমনই একটা গোলের কথা মনেও করিয়ে দিলেন তিন‌ি তার ভক্তদের।

(ঢাকাটাইমস/২৮ মার্চ/এআইএ)