করোনা: ট্রেনেই আইসোলেশন ওয়ার্ড করছে ভারত

প্রকাশ | ২৮ মার্চ ২০২০, ১৭:২৭

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় প্রতি হাজারে মানুষ পিছু তিনটি শয্যা প্রয়োজন ভারতের। কিন্তু আছে মাত্র শূন্য দশমিক সাতটি। এমতাবস্থায় লকডাউনে থেমে থাকা রেলকে ভিন্ন ভূমিকায় ব্যবহার করার কথা ভাবছে কেন্দ্রীয় সরকার। থমকে থাকা রেলের কোচগুলিকেও আইসোলেশন ওয়ার্ড হিসাবে ব্যবহারের প্রস্তুতি নিচ্ছে কেন্দ্র।

করোনার মতো সংক্রামক ব্যাধিকে রুখতে কী কী পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে সে ব্যাপারে গত বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে নতুন নতুন ভাবনা চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখান থেকেই রেলের কামরাগুলিকে আইসোলেশন ওয়ার্ড হিসাবে ব্যবহারের প্রস্তাব আসে।  ওই দিনই রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্স করেন রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান ভিকে যাদব। সঙ্গে ছিলেন রেলের সমস্ত জোনের জেনারেল ম্যানেজার ও ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজাররা। সেখানেও ওঠে ওই প্রস্তাব।

দৈনিক সাড়ে ১৩ হাজারের বেশি এক্সপ্রেস ট্রেন চালায় ভারতীয় রেল। কিন্তু লকডাউনের জেরে আপাতত ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ রয়েছে রেল পরিষেবা। এই অবস্থায় এক্সপ্রেস ট্রেনের কোচগুলিকে আপৎকালীনভাবে আইসোলেশন ওয়ার্ড করা হলে চিকিৎসা পরিষেবার ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। কোনো জায়গায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেশি হলে, সেখানকার নিকটবর্তী স্টেশনে প্রয়োজন মাফিক ওই চলন্ত আইসোলেশন ওয়ার্ড পাঠিয়ে দেওয়াও যাবে। সঙ্গে মেডিক্যাল স্টোর, আইসিইউ-র মতো পরিষেবাও থাকবে বলেও জানিয়েছেন রেলবোর্ডের চেয়ারম্যান। এ ব্যাপারে চিকিৎসকদের পরামর্শও নিচ্ছে রেল।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-এর ২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতে প্রতি হাজার জন মানুষ পিছু হাসপাতালে ০.৭টি করে শয্যা রয়েছে। কিন্তু হু জানিয়ে দিয়েছে, এই রোগ মোকাবিলায় প্রতি ১ হাজার জন পিছু হাসপাতালে অন্তত ৩টি করে শয্যা প্রয়োজন। ভারত হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা বাড়িয়ে ২-তে নিয়ে যেতে চাইছে। সেই কারণেই রেলওয়েকে ভিন্ন ভাবে ব্যবহারের কথা ভাবা হচ্ছে।

ঢাকাটাইমস/২৮মার্চ/ইএস