ফরিদপুরে আটকে পড়া ১৯৮ শ্রমিক বাড়ি গেলেন

প্রকাশ | ২৮ মার্চ ২০২০, ১৮:৪৬

ফরিদপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

করোনাভাইরাসজনিত কারণে গণপরিবহনসহ যাবতীয় যানবাহন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ফরিদপুর শহরে আটকা পড়েছিল নাটোর, জয়পুরহাট, চাপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা, নওগাঁসহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার ১৯৮জন দিনমজুর। চলমান পরিস্থিতির কারণে কাজও বন্ধ হয়ে যায় তাদের।

সবাই জড়ো হন ফরিদপুর শহরতলীর নূরু মিয়া বাইপাস এলাকার ব্রাহ্মণকান্দা এলাকায়। সেখানে নির্মাণাধীন কয়েকটি দোকানে গাছের তলায় কাটছিল তাদের রাত। কাজ না পাওয়ায় হাতে কোনো টাকা পয়সা ছিল না। টাকা থাকলেও উপায় ছিল না কিনে কিছু খাওয়ার। কারণ, সব খাবার হোটেলও বন্ধ। সব মিলিয়ে এক মানবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিলেন এসব শ্রমিক।

চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল বাগরাইল গ্রামের তামিজউদ্দিনের ছেলে দিন মজুর নাবিউল ইসলাম জানান, তিনি ১২দিন ধরে ফরিদপুরে এসেছেন। গত দুইদিন ধরে কোনো কাজ পচ্ছেন না। বাড়ি ফিরে যেতে পারছেন না বাস না চলায়। তিনি জানান, বাড়িতে স্ত্রী ও দুই ছেলে রয়েছে, তারা কিভাবে আছে জানেন না। তাই বাড়ি যেতে চান।  

ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী বরকত ইবনে সালাম গত শুক্রবার নূরুমিযা বাইপাস এলাকায় ঘুরতে গিয়ে ওই দিনমজুরদের কথা জানতে পারেন। তিনি শুক্রবার রাত ও শনিবার আটকে পড়া শ্রমিকদের খাওয়ার ব্যবস্থা করেন। শনিবার তার মালিকানাধীন সাউথ লাইন পরিবহনের তিনটি বাসে করে শ্রমিকদের বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।  

বাসে ওঠানোর আগে প্রত্যেক শ্রমিকদের হাত ধোযানো হয় সাবান দিয়ে, দেয়া হয় মাস্ক এবং ১০০ টাকা করে। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ১টার মধ্যে তিনটি বাস রওনা হয়ে যায় উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার উদ্দেশ্যে।

চৌধুরী বরকত ইবনে সালাম বলেন, এ কাজে তাকে সাহায্য করেছেন ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের সাংসদ খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার এবং পুলিশ সুপার আলিমুজ্জামান।

(ঢাকাটাইমস/২৮মার্চ/কেএম)