যশোরে স্কুলছাত্রের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

যশোরের মণিরামপুরে দ্বিতীয় শ্রেণিপড়ুয়া তামিম ইকবাল নামে সাড়ে আট বছরের এক স্কুলছাত্রের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার বিকালে উপজেলার চালুয়াহাটি গ্রাম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

তামিম ইকবাল ওই গ্রামের ফারুক দপ্তরির ছেলে। সে স্থানীয় চালুয়াহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিল।

অভিযোগ করা হচ্ছে, পাশের বাড়ির মুজির আলীর ছেলে রেজওয়ানের সঙ্গে মারামারি করার কারণে তামিমকে হত্যা করে লাশ তাদের (তামিমদের) ঘরে আড়ায় ঝুলিয়ে রাখে মুজিরের স্ত্রী পলি বেগম। ওই সময় শিশুটির বাবা-মা কেউ বাড়িতে ছিলেন না। আর ঘটনার পরপরই দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছেন মুজির আলী।

তবে পুলিশ বলছে, ওই শিশু ঘরের আড়ার সঙ্গে শাড়ি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তার দেহে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এই ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

তামিমের বাবা ফারুক হোসেন বলেন, ‘আমার স্ত্রী সকালে নওয়াপাড়ায় আকিজ জুটমিলে কাজে চলে যায়। আমিও এক আত্মীয়ের বাড়িতে বিচলি আনতে গিয়েছিলাম। বাড়ি এসে ১১টার দিকে ঘরে ঢুকতে গিয়ে দেখি ভেতর থেকে দরজা লাগানো। ঘরের দুটো দরজা। অন্য দরজা খুলতে গিয়েও দেখি ভেতর দিয়ে লাগানো। তখন ওপর দিয়ে উঠে দেখি, আমার ছেলের লাশ ঝুলছে।

মা নাসিমা বেগম অভিযোগ করে বলেন, সকালে আমি কাজের উদ্দেশে বের হই। কিছুদূর যাওয়ার পর ছেলের মৃত্যুর খবর পাই। পাশের বাড়ির মুজিরের বউ পলি আমার ছেলেকে বাইরে থেকে মারতে মারতে ঘরে এনে খুন করে লাশ ঝুলিয়ে রেখে ওপর দিয়ে বেরিয়ে গেছে।

স্থানীয়রা বলছে, পলি বেগম খুব বেপরোয়া নারী। তার সন্তানদের সঙ্গে কোনো শিশু মারামারি করলে তিনি ওই শিশুকে মারধর করেন। সকালেও পলি তামিমকে ধরে মারতে মারতে বাড়িতে নিয়ে আসেন।

স্থানীয় নারী ইউপি সদস্য তাসলিমা খাতুন ও ইউপি মেম্বর জিয়াউর রহমান বলেন, এটা আত্মহত্যা নাকি হত্যা তা বোঝা যাচ্ছে না। এতো ছোট একটা শিশু আত্মহত্যা করতে পারে বলে মনে হয় না। আবার ঘরের ভেতর দিয়ে দরজা লক করা ছিল। তা দেখেও সন্দেহ হয়। তবে সকালে পলির ছেলে রেজওয়ানের সঙ্গে তামিমের মারামারি হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেন তারা।

মণিরামপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শিকদার মতিয়ার রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে শিশুটি আত্মহত্যা করেছে। লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।

(ঢাকাটাইমস/২৮মার্চ/এলএ)