স্বেচ্ছায় লকডাউনে পাহাড়ের ম্রো গোষ্ঠী

বান্দরবান প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৮ মার্চ ২০২০, ২১:৩৮

প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস ঠেকাতে যার যার ঘরে থাকার আহবান জানিয়ে কাজ করে হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন। তখন নিজেদের পাড়া নিজেরা ‘লকডাউন’ রেখেছেন বান্দরবানের ম্রো আদিবাসীরা। যার স্থানীয় ম্রো ভাষায় ‘খাসুর’ করে রাখা।

এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছেন চিম্বুক পাহাড়ে ম্রো জনগোষ্ঠী। সেখানে তিনটি পাড়ার প্রবেশ মুখে বাঁশ বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন তারা। বাইরের কেউ এখন ঢুকতে পারবে না, আবার জরুরি প্রয়োজন ছাড়া পাড়ার কেউ বাইরে যেতে পারবে না।

ঘটনাটি ঘটেছে বান্দরবান শহর থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে ম্রো পাড়ায়।

সম্প্রতি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাচঁতে দেশব্যাপী যেখানে লকডাউনের ঘোষণা দেয়া হয়, ঠিক সে মুহূর্তে নিজেদের পাড়াকে করোনা মহামারি থেকে বাঁচাতে প্রথাগত পদ্ধতিতে নিজেদের পাড়াকে (লকডাউন) করে দেন চিম্বুক পাহাড়ের রাংলাই, মধ্যম, সিংচ্যং, ম্রলং ম্রো পাড়ার বাসিন্দারা।

সম্প্রতি বিষয়টি দৃষ্টি কাড়ে সকলের। সরকার যেখানে মানুষকে বুঝিয়ে জোড় করে ঘরে রাখতে পারছে না, সেখানে স্বেচ্ছায় একটি পাড়ার মানুষ নিজেদের লকডাউন করার ঘটনা সত্যিই নজর কাড়ার মত। দেশব্যাপী প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের কথা শুনে গত ২৭ মার্চ পাড়ার লোকজন দীর্ঘদিনের প্রথা অনুযায়ী মহামারি থেকে বাঁচতে লকডাউন করে দেয়।

রাংলাই ম্রো পাড়ার বাসিন্দা পেলে ম্রো ঢাকাটাইমসকে জানান, এই পাড়া লকডাউন প্রথা বহু আগে থেকেই ম্রো সমাজে প্রচলন ছিল এবং এখনো আছে। এর স্থানীয় নাম খাসুর। এটি দেয়া হলে বাইরের মানুষ পাড়ায় আসতে পারবে না, ভেতরের মানুষও বাইরে যেতে পারবে না। কেউ বাইরে গেলেও তাকে বাইরে অবস্থান করতে হবে, পাড়ার ভেতর আসতে পারবে না। যতদিন না এটি খোলা না হয়।

মধ্যমপাড়া বাসিন্দা ইয়ং য়েং ম্রো জানান, এই খাসুর বানিয়েছি আমরা তিন পাড়া সকলেই মিলে, যাতে করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পাই এবং পাড়াবাসীকে যাতে রক্ষা করতে পারি। যতদিন না পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয়, ততদিন বন্ধ রাখা হবে।

একই পাড়ার বাসিন্দা রেংটন ম্রো জানান, পাড়াবাসী যেহেতু অতি গরিব ও দিনমজুরি করে খায়। সেক্ষেত্রে সরকারের উচিত অসহায় এই পাড়াবাসীর দিকে নজর দেয়া। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও অন্তত দু বেলা খাবারের ব্যবস্থা যাতে সরকার করে দেয়।

করোনা প্রতিরোধসহ বান্দরবান জেলায় খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ে বিশেষ উদ্যোগের কথা জানালেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শামীম হোসেন। তিনি বলেন, ৪৭ মে.টন চাল, তিন লক্ষ ৪০ হাজার টাকা প্রতিটি উপজেলায় ইউএনদের মাধ্যমে দেয়া হবে। এর মধ্যে বান্দরবান সদর উপজেলায় ১০ টন চাল, ৭০ হাজার নগদ টাকা বিতরণ করা হবে স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে। এটি শেষ নয়, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা মোতাবেক আমরা প্রতিটি অসহায় ও দুস্থ পরিাবরের মধ্যে পৌঁছে দেব,শুধু মানুষজন ঘরে থাকবে।

(ঢাকাটাইমস/২৮মার্চ/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

বিল বকেয়ায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন, অবৈধ বিদ্যুতে চলছে ইউপি কার্যালয়

কেজি দরে অপরিপক্ব তরমুজ, পিস চাইলে দাম আকাশ ছোঁয়া

লক্ষ্মীপুরে যুবলীগ নেতার চোখ উপড়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা

ফেনী সরকারি কলেজে শিক্ষার্থীদের গণইফতারে ছাত্রলীগের হামলা, আহত ১০

মধ্যরাতে ফের মিয়ানমারের গুলির শব্দে কেঁপে উঠল টেকনাফ সীমান্ত

উত্তরবঙ্গের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক, দুর্ঘটনা তদন্তে ৪ সদস্যের কমিটি

বরগুনা প্রেসক্লাবের নামে ভুয়া কমিটি গঠনের অভিযোগ 

ঝিনাইদহে বাজার নিয়ন্ত্রণে ভোক্তা অধিকারের অভিযান, ৩ প্রতিষ্ঠানে জরিমানা

যারা ট্রেনে আগুন দেয় তারাই ভাড়া বৃদ্ধির গুজব ছড়ায়: রেলমন্ত্রী

আলফাডাঙ্গায় দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :