খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে সেলুনকর্মীদের

কাজী রফিক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৯ মার্চ ২০২০, ০৮:০২
ফাইল ছবি

সরকারি ছুটি ঘোষণার পর দুই দিনেই অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে নগরের অধিকাংশ সেলুনকর্মীদের। যখন হাতে অফুরন্ত কাজ ছিল তখনও কোনোমতে খেয়ে পড়ে থাকতেন তারা। কিন্তু প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে দোকান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তার ভাজ পড়েছে তাদের কপালে। আরও কয়েকদিন গেলে কীভাবে তারা পরিস্থিতি সামাল দেবেন এই নিয়ে তারা মহাদুশ্চিন্তায় আছেন।

করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ রোধে দেশে কার্যত লকডাউন অবস্থা চলছে। সবাইকে বাসার ভেতরে থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান, ফার্মেসি ছাড়া অন্যান্য সকল কিছু বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সরকার ঘোষিত এই নিষেধাজ্ঞা চলছে গত ২৬ মার্চ থেকে। আগামী মাসের ৪ তারিখ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হতে পারে। এই দীর্ঘ সময়ে কাজ না থাকায় আর্থিক সংকট দেখা দিয়েছে নরসুন্দরদের মধ্যে।

বিপাকে পড়া এসব কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অধিকাংশ নরসুন্দর মহল্লার ছোট ছোট সেলুনে কাজ করেন। কাজ হলে টাকা পান, নতুবা না।

মোহাম্মদপুর সাত মসজিদ হাউজিং এলাকার এক সেলুনে কাজ করেন নাদিম। তিনি বাংলাদেশে আটকে পড়া পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। বসবাস করেন জেনেভা ক্যাম্পে।

ঢাকাটাইমসকে নাদিম বলেন, ‘দুই দিনেই অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে। কোনো রকম খাইয়া, না খাইয়া আছি। বাকি দিনগুলাতে কি করব বুঝতেছি না।‘

মোহাম্মদীয়া হাউজিং লিমিটেডের ৩ নম্বর সড়কের একটি সেলুনে কাজ করেন মোহাম্মদ কলিম। এই উর্দুভাষী থাকেন কৃষি মার্কেট টোল ক্যাম্পে।

তিনি জানান, জমানো টাকা দিয়ে আগেই বাজার করে রেখেছিলেন। যা আর দুই থেকে তিন দিন চলতে পারে। এরপর কি করবেন, সে বিষয়ে ধারণা নেই তার।

হতাশা প্রকাশ করে কলিম বলেন, ‘কি করোনা আইল, কাজকাম বন্ধ। কোনোভাবে খাইয়া, না খাইয়া আছি। দুই দিনের বাজার আছে। তারপর বউ বাচ্চা নিয়া কি খামু? ক্যাম্পে কারও থেকে ধার নিমু সে সুযোগও নাই। যারা কাজ করে, সবার একই অবস্থা। কারো কাছে হাত তো পাততে পারি না ভাই। আমরা কাজ করার লোক।‘

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অনেক সেলুনের কর্মচারী নিষেধাজ্ঞা পেতেই ঢাকা ছেড়েছেন। কর্মচারীদের ভাষ্যমতে, এসব সেলুনের মালিকরা সঠিক সময়ে ঢাকায় না ফিরলে তাদের সমস্যা আরও বাড়তে পারে।

এদিকে খাবারের চিন্তা তেমন নেই সেলুন মালিকদের। তবে তাদের কপাল কুচকে আছে দোকান ভাড়া, বিদ্যুৎ ও পানির বিলের কারণে। দশ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হতে হতে খরচের খাতা খুলবে।

ঢাকাটাইমস/২৯মার্চ/কারই/ইএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিশেষ প্রতিবেদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :