কর্মীদের অফিসে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করল ফিফো টেক

কাজী রফিক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৯ মার্চ ২০২০, ১৬:৪৩ | প্রকাশিত : ২৯ মার্চ ২০২০, ১৫:০৫

গ্রাহকদের জরুরি সেবা নিশ্চিত করতে কর্মচারীদের অফিসে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা করা হয়েছে কর্মীদের খাওয়ারও। আর এমন কাজটি করেছে বিপিও প্রতিষ্ঠান ফিফোটেক। করোনাভাইরাস পরিস্থিতে গ্রাহকদের সেবা নিরবিচ্ছিন্ন রাখতে প্রতিষ্ঠান খোলা রাখতে হয়েছে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের (জনতা টাওয়ার) দশম তলায় প্রতিষ্ঠানটির অফিস। দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের পর থেকে সকল ধরণের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে প্রতিষ্ঠানটি। সরকারের পক্ষ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলে কর্মীদের বাসা থেকে কাজ করার সুযোগ করে দেয়া হয়। বাসা থেকে সবাই জুম এর মাধ্যমে অফিসের সাথে কানেক্ট আছে। যে সকল কাজ বাসা থেকে করা সম্ভব না অথবা যে সকল কর্মীদের বাসায় কাজের পরিবেশ নেই, তাদেরকে অফিসে কাজের নির্দেশনা দেয়া হয়। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে এসব কর্মীদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তৌহিদ হোসেন ঢাকা টাইমসকে জানান, প্রতিষ্ঠানটির ৩৫০ জনের বেশি কর্মীর মধ্যে প্রায় দুইশো জন বাসা থেকে কাজ করতে পারছে। তাদের সেভাবে বাসা থেকে কাজ করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। কল সেন্টার এবং কিছু জরুরি টেকনোলজি সার্ভিস বাসা থেকে পরিচালনার সুযোগ না থাকায় সীমিত আকারে অফিস থেকে কর্মীদের মাধ্যমে সেগুলো পরিচালিত হচ্ছে। এসব কর্মীরা অফিসেই কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন গত সাতদিন। তারা কোনোভাবে অফিস থেকে বের হতে পারবেন না।

তৌহিদ বলেন, ‘দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের কিছু জরুরি এবং রপ্তানি সেবা রয়েছে, যা আমাদের প্রদান করতেই হয়। গ্রাহকদের সেবার নিশ্চয়তা দিতে আমরা আমাদের কর্মীদের দুইভাগে ভাগ করেছি। একটি অংশ বাসা থেকে কাজ করবে। বাকি অংশটা যে কাজ বাসা থেকে করা সম্ভব না সেটি অফিসে থেকেই করবে। আবার অনেকেই পক্ষে বাসা থেকে কাজ করার ব্যবস্থা নেই, তারা অফিসে থাকছে।‘

কর্মীদের জন্য প্রতিষ্ঠানের নেয়া ব্যবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘অফিসে যারা রয়েছে, তারা হোম কোয়ারেন্টাইনের মতোই রয়েছে। তারা অফিস থেকে বের হচ্ছে না। কাজের ক্ষেত্রে একজনের থেকে অপরের জনের দূরত্ব প্রায় তিন ফুট করে। মানে আমরা সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করছি। এছাড়া সকল ধরণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। সকলের জন্য আলাদা আলাদা বিছানা কেনা হয়েছে। একজন আরেকজনের বিছানায় যাবে না। অফিসের পক্ষ থেকে তাদের সম্পূর্ণ খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে যা খাবার অফিসেই রান্না করা হচ্ছে।

প্রতিষ্ঠান চালু না থাকলে এ খাতে অনেকেরই চাকরি হারানোর সম্ভাবনা রয়েছে জানিয়ে ফিফো টেক এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘আমরা এখন যে বিশাল বিপদের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি সেখানে আমরা চেষ্টা করছি সীমিত আকারে হলেও কার্যক্রম চালাতে। তা না হলে কিছুদিন পরে অর্থনৈতিকভাবে যে প্রতিকূলতা আসবে, তাতে আমাদের বিপিও সেক্টরের অনেক মানুষের চাকরি হারানোর সম্ভাবনা তৈরি হবে।‘

ঢাকাটাইমস/২৯মার্চ/কারই/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :