মানুষ বাঁচলে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে
মানুষ বাঁচলে, অর্থনীতিও ঘুরে দাঁড়াবে । তাই এতো হা হুতাশের কিছু নাই । করোনার ক্রান্তিকাল পেরিয়ে জীবন ঘুরে দাঁড়ালে, অথর্নীতিও ঘুরে দাঁড়াবে । আগে মানুষ বাঁচান । মানুষের পাশে দাঁড়ান । মানুষের চিকিৎসা সেবাটা চিশ্চিত করেন ।
করোনা যখন ছিলোনা তখনও বলতেন, ব্যাংকে টাকা নাই । পুঁজি নেই । মূলধন নেই । তারল্য সঙ্কট । বলতেন, রপ্তানীর চাইতে আমরা অনেক বেশি আমদানীর ওপর নির্ভরশীল । বলতেন, গার্মেন্টস খাত ধ্বংসের পথে । আবাসন খাত ধ্বংসের মুখে । বলতেন, হাজার হাজার কোটি টাকা প্রতিবছর পাচার হচ্ছে । সেকেন্ড হোম হচ্ছে । পর্যাপ্ত বিনিয়োগ নাই, কেবল বেকারত্ব বাড়ছে । খেলাপী ঋণ মওকুফের দাবিতো শুনেই আসছি বহুকাল ধরে ।
করোনা যুগের আগে পেয়াজ কিনতে হয়েছে ২৮০ টাকা কেজি । চাল, ডাল, তেল, রসুন, আদা, মসল্লাসহ সব কিছুর দাম হু হু করে বেড়েছে অকারণে । আর লবন নিয়ে যা হয়েছে, তা তো গিনেস বুকে যায়গা পাওয়ার কথা ইতিমধ্যে ।
ক্রসফায়ারে, সড়ক দূর্ঘটনায়, ডেঙ্গুতে, বিনা চিকিৎসায় বা ভূল চিকিৎসায় মৃত্যু, হত্যাকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়া, হত্যার বিচার না পাওয়া, ট্রলারে চড়ে বিদেশ পাড়ি দিতে গিয়ে সমুদ্রে ডুবে মুত্যু, ঘাট অচল, বন্দর অচল, টার্মিনাল অচল, ট্যাক্স-ফাঁকি, কর ফাঁকি- এদেশে নতুন কি?
করোনা কেবল থমকে দিয়েছে । তো আগে করোনাটা সামাল দেন, বাকীটা আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসবে। ফিরে আসবেই।
এটুকু বুঝতে অমর্ত্য সেনের মতোন নোবেল জয়ী অথর্নীতিবিদ হতে হয় না । অতএব, আগে মানুষ বাঁচান । বাকি বিষয় নিয়ে হা হুতাশের সময় এখন নয় ।
লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক ও নির্বাহী সদস্য, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)