করোনাভাইরাস

পর্যটন খাতে প্রণোদনা চেয়ে ৬ প্রস্তাব বিটিইএ’র

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ৩০ মার্চ ২০২০, ১৪:৪৪ | প্রকাশিত : ৩০ মার্চ ২০২০, ১৪:৩৭

করোনাভাইরাসের ফলে দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। পর্যটন খাতও এ প্রভাব থেকে বাদ পড়েনি। অভ্যন্তরীণ ও আর্ন্তজাতিক যোগাযোগ ব্যবস্থা ও হোটেল বন্ধ থাকায় এ খাতের ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। এটি উত্তরণে অন্য খাতের মতো এ খাতেও প্রণোদনা চায় বাংলাদেশ ট্যুরিজম এক্সপ্লোরারস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিইএ)।

প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে ট্যুর অপারেটরদের তিন মাসের অফিস ভাড়া ও কর্মচারীর বেতনের ব্যবস্থা করা, পর্যটন স্পট নির্ভর প্রান্তিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের এককালীন আর্থিক সহায়তা প্রদানসহ ছয়টি প্রণোদনা প্রস্তাব করেছেন বিটিইএ’র চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম সাগর।

বাকি প্রস্তাবগুলোর মধ্যে তিনি উল্লেখ করেন, পর্যটন শিল্পে যেসব লোন আছে তার ছয় মাসের কিস্তি মওকুফ, স্বল্প সুদে ও সহজ শর্তে নতুন লোন প্রদান করা, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মাধ্যমে অনলাইন ট্যুর অপারেটরদের বিনা সুদে লোন প্রদান ও প্রশিক্ষণের সুবিধা প্রদান এবং সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় ইভেন্ট ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট ট্রেনিং করাতে হবে।

তিনি বলেন, গোটা বিশ্ব আজ করোনাভাইরাস সমস্যার সম্মুখীন। স্থবির হয়ে গেছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। শিথিল হয়ে গেছে বিশ্ব অর্থনীতি। অর্থনৈতিকভাবে ক্ষমতাশালী দেশগুলোও হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে এই সংকট মোকাবেলায়। দিন দিন দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। এই মহা-দুর্যোগ দিনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সংকট মোকাবেলার জন্য যে অসীম ধৈর্য, সাহস ও দৃঢ়তার সাথে সমন্বিত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়। জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে শুনিয়েছেন আশার বাণী, দিয়েছেন দিকনির্দেশনা ও করণীয়।

ঘোষণা করেছেন দুর্যোগ মোকাবেলায় সাধারণ জনগণ ও ব্যবসায়ীদের জন্য সুবিধা প্যাকেজ। পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধে ৫ হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ ঘোষণা করেছেন। কিন্তু করোনা যুদ্ধ প্রথম যেই ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে আঘাত হেনেছে তাহলো পর্যটন। সারা বিশ্বে প্রথমত বন্ধ করা হয়েছে এয়ারলাইন্স। তার প্রভাবে বন্ধ হয়ে পড়েছে হোটেল, রিসোর্ট, ক্রুজ লাইন, রেস্টুরেন্ট ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ট্যুর অপারেটর ও ট্রাভেল এজেন্সি। বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে পর্যটন শিল্প বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

অন্যান্য শিল্প দুর্যোগ কেটে যাওয়ার পরপরই উৎপাদন শুরু করতে অথবা গতিশীলতায় আসতে পারলেও তেমনটির সম্ভাবনা নেই পর্যটন শিল্পে। পুনরায় পর্যটন শিল্পের গতি ফিরতে সময় লাগবে বছরখানেকেরও বেশি। এখনই পরিকল্পনা না করলে, সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী এই আপদকালীন সময় সরকারি প্রণোদনা না পেলে, বন্ধ হবে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, চাকরি হারাবে অনেক কর্মচারী। দেশে বেকারত্ব বাড়বে।

আর তাই এই খাতটিকে টিকিয়ে রাখতে হলে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি প্রয়োজন এবং এ খাতে প্রণোদনা দেয়ার ব্যবস্থা করা জরুরি বলে মনে করছে বিটিইএ।

ঢাকা টাইমস/৩০মার্চ/আরএ/ইএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

অর্থনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অর্থনীতি এর সর্বশেষ

ভ্যাট ফাঁকি বন্ধ করতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ইএফডি ডিভাইস বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে: অর্থ প্রতিমন্ত্রী

পাটজাত পণ্যের বৈশ্বিক বাজারকে কাজে লাগাতে হবে: পাটমন্ত্রী

অধ্যাপক খলীলী ব্যাংক এশিয়ার বোর্ড অডিট কমিটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত

স্বর্ণের দাম কমল ভরিতে ৩ হাজার ১৩৮ টাকা

জনতা ব্যাংকের ম‌্যানেজার্স ইন্ডাকশন প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন

বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটিতে স্থানান্তরিত হলো ন্যাশনাল ব্যাংক ডিজাস্টার রিকভারি সাইট

ইসলামী ব্যাংকের ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম উদ্বোধন

টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে ওয়ালটন, মুনাফা বেড়েছে ৫১২ কোটি টাকা

মিনিস্টারের শতকোটি টাকার ঈদ উপহার জিতে আনন্দিত ক্রেতারা 

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স উদ্বোধন

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :