হোম কোয়ারেন্টাইনে শিশুর যত্ন

ফিচার ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ৩০ মার্চ ২০২০, ১৫:৫৭

বড়দের মতো হোম হোম কোয়ারেন্টাইনে আছে ছোটরাও। বন্ধ তাদের স্কুল। গৃহবন্দী জীবন। ফলে একঘেয়ে জীবনে হাঁফিয়ে উঠেছে তারা। হয়ে উঠেছে খিটখিটে। এই অবস্থায় ওদের মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া অভিভাবকদেরই কর্তব্য।

যে সব শিশুর একটু বোধশক্তি তৈরি হয়েছে, তাদের বুঝিয়ে বলুন ‘হোম কোয়রান্টাইন’ কী, আর তার যৌক্তিকতাই বা কতটা। তা হলে চার দেওয়ালের মধ্যে আটকে থাকার গ্রহণযোগ্যতা অনেকটা বাড়বে ওদের মধ্যে। এক জন ৩-৫ বছর বয়স্ক শিশুদের মধ্যে কিন্তু মৃত্যু সম্পর্কে একটা অস্বচ্ছ ধারণা তৈরি হয়ে যায়। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ও তার সংখ্যা নিয়ে ওদের সামনে বেশি আলোচনা না করাই বাঞ্ছনীয়। অপরিণত মস্তিষ্কে মৃত্যুভয় বাসা বাঁধতে পারে।

বাড়ির অন্য সকলে যেমন সংসারের সমস্ত কাজ ভাগ করে করছেন, আপনার সন্তানটিকেও তার বয়স ও ক্ষমতা অনুযায়ী কাজ ভাগ করে দিন। সকলের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করাটা হয়তো ওর কাছে উপভোগ্যই হবে। ছবি আঁকা, বাগান করা, গল্পের বই পড়া, বাজনা বাজানোর মতো কোনও শখ—যেটা ঘরে বসেই করা যায়, এমন কিছুতে উৎসাহিত করুন।

বছরের আর পাঁচটা দিনের চেয়ে অভিভাবকদের হাতে কিন্তু একটু বেশিই সময় আছে সন্তানকে দেওয়ার মত। তাই এই সময় চেষ্টা করবেন, যদি একসঙ্গে বসে কিছু খেলা যায় বা কোনও বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যায়— এটা ওদের কাছে অনেক বেশি উপভোগ্য হয়।

এই সময় সব বাড়িতেই খাওয়াদাওয়া আর পাঁচটা দিনের চেয়ে অনেক বেশি সাদামাঠা আর সংক্ষিপ্ত। এটার মধ্যে দিয়ে শিশুটির কাছে এই বার্তা যাক যে জীবনে খারাপ-ভাল সব পরিস্থিতিই আসতে পারে। তাকেও তা মেনে নিতে হবে সকলের মতোই। এই সময় খাবার যেন একদম নষ্ট না করে সেই বার্তাও দিতে হবে। বোঝাতে হবে দেশের অবস্থাও।

কোনও ভাবে দাম্পত্য কলহ হলেও খেয়াল রাখতে হবে, বাবা-মার মধ্যেকার অশান্তি যেন সন্তানকে কোনও ভাবে প্রভাবিত না করে ফেলে। চেষ্টা করুন, নিজেদের মধ্যেও কোনও অশান্তি হলে তা দ্রুত মিটিয়ে ফেলতে। শিশুরা ঘরে বসে বসে একঘেয়ে হয়ে দুষ্টুমি করলে তার শাস্তিস্বরূপ মারধর একদমই কিন্তু ঠিক হবে না। এতে এই সময় মনের উপর উল্টো প্রভাব পড়বে ও শিশুর মধ্যে হতাশা তৈরি হবে।

অনেকটা সময় হাতে পাচ্ছে যখন, তখন বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করুন। পাঠ্যবইয়ের বাইরেও নানা বই পড়ার স্বভাব পরবর্তীতে তার অনেক উপকার করবে। শিশুর কার্টুন, মোবাইল গেমসের নেশা কাটিয়ে ফেলুন এই সময়ে।

এই সময়টা শিশুকে ‘হ্যান্ড হাইজিন’ আর ‘কাফ এটিকেট’ শেখানোরও আদর্শ সময়। সেটা আয়ত্ত করে ফেলতে পারলে করোনাভাইরাসকে প্রতিরোধ করার সঙ্গে সঙ্গে আপনার সন্তান সারা জীবন ধরেই কিন্তু অন্য অনেক রোগের আক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পাববে।

(ঢাকাটাইমস/৩০মার্চ/এজেড)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

ফিচার এর সর্বশেষ

কিডনি রোগ বাড়ছে শিশুদেরও! যেসব লক্ষণ দেখলেই সতর্কতা জরুরি

সস্তার পেয়ারার গুণে বশে থাকে ডায়াবেটিস-উচ্চ রক্তচাপসহ নানা জটিল রোগ

যে পাঁচ সমস্যায় আক্রান্তরা গুড় খাওয়ার আগে একবার ভাবুন, নইলে...

সাজেদুর রহমান শাফায়েতের স্বপ্ন পৃথিবী ঘুরে দেখা

খাওয়ার পরপরই চা পান উপকার না ক্ষতি? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা

জ্বরের মধ্যে যে পাঁচ খাবার খেলেই বিপদ! জানুন, সাবধান হোন

গরমে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে ডায়াবেটিস রোগীদের! সুস্থ থাকবেন যেভাবে

মুখে দুর্গন্ধের কারণে হা করতেও অস্বস্তি লাগে? সমাধান কী জানুন

লিভার ভালো রাখে লাউ! ওজন এবং উচ্চ রক্তচাপও থাকে নিয়ন্ত্রণে

কিডনি ভালো রাখে আমের পাতা! উচ্চ রক্তচাপও থাকে নিয়ন্ত্রণে

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :