পুলিশের লাঠিচার্জের ছবি এডিট করা: সদরদপ্তর

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ৩০ মার্চ ২০২০, ২১:০৩ | প্রকাশিত : ৩০ মার্চ ২০২০, ২০:১১
বাঁ পাশের ছবিটি এডিট করা (মাস্ক পরা) আর ডান পাশে ২০১১ সালের প্রকৃত ছবি

করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে পুলিশের দুই লাখ সদস্য মাঠে কাজ করছে, এই অবস্থায় সংস্থাটির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য ২০১১ সালের লাঠিচার্জের ছবি ফটোশপে এডিট করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে পুলিশ সদরদপ্তর। যারা এই ধরনের কাজে জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে পুলিশের সাইবার টিম কাজ করছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।

সোমবার পুলিশ সদরদপ্তর থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনার বিস্তাররোধে সারাদেশে লাখো কোটি মানুষের সাথে পুলিশের ইন্টারঅ্যাকশন বা সাক্ষাৎ হচ্ছে প্রতিদিন। এর মধ্যে গুটিকয় ঘটনা বা ইন্টারঅ্যাকশনের সময় পুলিশের কতিপয় সদস্যের বিরুদ্ধে অনাকাঙ্ক্ষিত বলপ্রয়োগের অভিযোগ ওঠেছে। এই বিষয়গুলো নিউজ মিডিয়া, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা অন্য যেকোনো উপায়ে পুলিশ সদসদপ্তরের দৃষ্টিতে আসা মাত্রই মাঠ পর্যায়ে ইউনিট কমান্ডারদের তাৎক্ষণিকভাবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সম্মানিত ইন্সপেক্টর জেনারেল ব্যক্তিগতভাবে ভিডিও বার্তায় এবং মোবাইল ফোনে অপারেশনাল সকল কমান্ডারের সাথে কথা বলেছেন। অপারেশনাল ইউনিট কমান্ডারগণও মাঠ পর্যায়ে নিয়োজিত কর্মকর্তাদেরকে একইভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন। এর ফলে, একই ধরনের ঘটনার আর কোনো পুনরাবৃত্তি হয়েছে বলে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের দৃষ্টিতে পড়েনি কিংবা জনপ্রিয় ও নির্ভরযোগ্য কোনো প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ায় এমন কোনো সংবাদ আমাদের চোখে পড়েনি। কিন্তু, তারপরও কিছু নিউজ মিডিয়ায় নতুন করে পুরাতন অভিযোগগুলো নিয়ে এমনভাবে নিউজ ছাপা হচ্ছে যাতে মনে হচ্ছে এখনও বলপ্রয়োগ অব্যাহত রয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, একটি দুষ্ট চক্র অতীতের বিভিন্ন সময়ের পুরাতন ছবি ও ভিডিও যেগুলোর বিষয়ে তদন্ত করে সেই সময়েই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল তা এডিট করে বা কৌশলে ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নতুন করে পোস্ট দিচ্ছেন। এমনকি ২০১১ সালে পুলিশ কর্তৃক বিএনপি-জামাতের অগ্নি-সন্ত্রাস দমনের ছবিও ফটোশপ করে ব্যবহার করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষ সেগুলো সহজেই বিশ্বাস করে তার বিপরীতে তাদের উষ্মা প্রকাশ করছেন এবং তা শেয়ার করছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ ধরনের মিথ্যাচারের ফলে পুলিশের প্রায় শতভাগ সদস্য যারা দেশ ও জাতির এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়েও করোনা আক্রান্ত মৃতদেহ সৎকারসহ নানা উপায়ে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করে চলেছেন, তারা মানসিকভাবে ডিমোটিভেটেড হচ্ছেন। দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে গুজব ছড়ানো ও মিথ্যাচার বন্ধ করে পুলিশকে সহযোগিতা করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে বিনীত অনুরোধ করা হচ্ছে। অন্যথায়, গুজব ছড়িয়ে ও মিথ্যাচার করে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্ত ছড়ালে উপযুক্ত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমাদের সাইবার টিমগুলো গুজব ও মিথ্যা রটনাকারীদের খুঁজে বের করতে কাজ করছে।

(ঢাকাটাইমস/৩০মার্চ/এসএস/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :