হিউম্যান এইড বাংলাদেশের উদ্যোগ

ফোনে ডাক্তারের পরামর্শে সেরে উঠল মেয়েটি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ৩০ মার্চ ২০২০, ২২:১৬ | প্রকাশিত : ৩০ মার্চ ২০২০, ২১:২৭

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সাধারণ সর্দি-জ্বর কিংবা শ্বাসকষ্টজনিত অসুখ নিয়ে রোগীরা কোনো কোনো চিকিৎসকের কাছে সেবা না পাওয়ার অভিযোগ আসছে। আবার কোনো কোনো হাসপাতালও এসব উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের ফিরিয়ে দিচ্ছে।

তবে চিকিৎসকদের অনেকেই দলবেঁধে কিংবা সম্পূর্ণ ব্যক্তি উদ্যোগে ফোনে রোগীদের পরামর্শ দেয়ার চেষ্টা করছেন। এমনই একদল তরুণ চিকিৎসকদের ফেসবুক পেজে যোগাযোগ করে অসুস্থ কন্যাকে সারিয়ে তুলেছেন এক পিতা। তার আগে পরিচিত ডাক্তার ও ঢাকার নাম করা হাসপপাতাল মেয়েটির চিকিৎসা দিতে রাজি হয়নি বলে জানিয়েছেন এম এ আকতার নামের ওই ব্যক্তি।

রবিবার রাতে ফেসবুকের নিজের হ্যান্ডেলে এক পোস্টে নিজের অসুস্থ কন্যার চিকিৎসা পেতে ভোগান্তি বিষয় এবং পরে হিউম্যান এইড বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের তরুণ চিকিৎসকদের উদ্যোগের বিষয়টি তুলে ধরেছেন। সবিস্তারে জানিয়েছেন ফোনে চিকিৎসকের পরামর্শে কিভাবে মেয়েটি সুস্থ হয়ে উঠল।

এমএ আক্তারের ফেসবুক পোস্টটি ঢাকা টাইমস পাঠেকদের জন্য হুবুহু তুলে ধরা হলো- যেদিন থেকে সরকার করোনা প্রতিরোধে লম্বা ছুটির ঘোষণা দিলো, সেদিন হঠাৎ আমার দুই মেয়ের একজনের অস্বাভাবিক শ্বাসকষ্ট দেখা দিলো।...

পরিচিত সব কজন ডাক্তারের শরণাপন্ন হলাম। কেউ সহায়তা করলেন না। এপোলোতে ফোন করলাম। জানালো, শ্বাসকষ্টের রোগীর কোনো চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই। আগে যে ডাক্তারকে দেখিয়েছিলাম সেই প্রকাশ দোকওয়াল ৪ঠা এপ্রিলের আগে দেখতে পারবেন না।...

তবে, চাইলে জরুরি বিভাগে যেতে পারি। কিন্তু অবশ্যই রোগী সাথে নেয়া যাবে না। আমি যতোই বলি, এটা করোনা সংক্রান্ত বিষয় নয়; আমার মেয়ের এলার্জীর সমস্যা। কিন্তু কোনো ফল হলো না।...

এমতাবস্থায় আমি অনেকটা প্যানিকড হলাম। চোখে অন্ধকার দেখলাম। হতাশায় আমার স্ত্রীও অকারণ শ্বাসকষ্ট অনুভব করলেন। আমি আত্মীয়-স্বজনদের কাউকেই বিষয়টি জানালাম না। কারণ, তারা সবাই নিজ নিজ ঘরে আবদ্ধ। কোনো উপকার করতে পারবেন না; অকারণ আমাদের মতো প্যানিকড হবেন। একমাত্র ভরসা সতীর্থ উনিশের ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে সহযোগিতা চাইলাম। জাবিয়ান বন্ধুরা সাহস যোগালেন; পরামর্শ দিলেন।

তখনই ফেসবুকে দেখলাম হিউম্যান এইড বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন কিছু ডাক্তারের সেল নম্বর দিয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। আমি ডাক্তার শেখ মইনুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলাম। তার পরামর্শ মোতাবেক একটি ট্যাবলেট সকাল-সন্ধ্যা সেবনের পর আজ মেয়ে বললো সম্পূর্ণ সুস্থ সে।

ডাক্তার মইনুলকে ফোন দিলাম। তিনি উচ্ছ্বসিত হলেন। বললেন, এ সংকটকালে তারা তরুণ কিছু চিকিৎসক জনগণের সেবা দিতে পেরে আনন্দিত। আর আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলাম তাদের প্রতি। তাদের উপকার স্বীকার করা আমার দায়িত্ববোধ করছি। ধন্যবাদ ডাক্তার শেখ মইনুল ইসলাম, ধন্যবাদ হিউম্যান এইড বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন।

হিউম্যান এইড বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের হয়ে রোগীদের পরামর্শ দিচ্ছেন এমন চিকিৎসকদের একজন সুমাইয়া তানজুম। ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসাবিদ্যা সম্পন্ন করা ডা. সুমাইয়া তানজুম ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘আমাদের এই উদ্যোগের প্রধান ডা. মঈনুল। তার উদ্যোগেই আমরা এরকম একটি কাজ করছি। সপ্তাহ খানেক আগে থেকে ফোনে আমরা রোগীদের পরামর্শ ধেয়ার চেষ্টা করছি।’

তিনি বলেন, ‘যেহেতু মানুষ এখন আতঙ্কিত, তাই আগে তাদের আতঙ্ক দূর করার চেষ্টা করি। অনেকেই সাধারণ জ্বর-সর্দি নিয়েও ভয়ে থাকছেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলে মানসিক ভীতিটা দূর করার চেষ্টা করছি।’

(ঢাকাটাইমস/৩০মার্চ/এএ/ডিএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :