হেফাজতে মুত্যু, আমতলীর ওসির বিরুদ্ধে অভিযোগ

প্রকাশ | ৩০ মার্চ ২০২০, ২১:৫৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বরগুনার আমতলী থানা হেফাজতে হত্যা মামলার সন্দেহভাজন আসামি শানু হাওলাদারের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় প্রত্যাহাকৃত ওসি মো. আবুল বাশারসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন এক আইনজীবী। 

নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন-২০১৩ এর ৬ ও ৭   ধারা মোতাবেক এই অভিযোগ দায়ের করা হয়।

সোমবার সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান  বরগুনার পুলিশ সুপারের (এসপি)  কাছে  লিখিতভাবে এই অভিযোগ দায়ের করেন।

পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, শানু হাওলাদার গত চার দিন হলো মারা গেছেন। এ পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। এ কারণে দেশের একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আমি লিখিতভাবে পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছি। 

পুলিশ এই অভিযোগ নথিভুক্ত করলে ওসিসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলার প্রসিডিং শুরু হবে। নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন অনুযায়ী তৃতীয় পক্ষের মামলা বা অভিযোগ দায়ের করার সুযোগ রয়েছে বলে জানান তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সারাদেশ লকডাউন অবস্থায় রয়েছে। এ অবস্থায় সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৩৭ মিনিটে বরগুনার পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সরকারি ইমেইলে লিখিত অভিযোগ পাঠিয়েছি। ইমেইলে অভিযোগ দায়ের করার ক্ষেত্রে কোনো আইনি বাধা নেই বলেও জানান এ আইনজীবী।

এর আগে গত ২৬ মার্চ বরগুনার আমতলী থানা হেফাজতে হত্যা মামলার সন্দেহভাজন আসামি শানু হাওলাদারের রহস্যজনক মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবুল বাশারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।  একইসঙ্গে থানার ওসি (তদন্ত) মনোরঞ্জন মিস্ত্রি ও সহকারী উপপরিদর্শক আরিফ হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করেন জেলা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন।  

ময়নাতদন্ত শেষে ২৬ মার্চ রাত ১১টার দিকে শানু হাওলাদারের মরদেহ তার গ্রামের বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি।

পরিবারের অভিযোগ, পুলিশ তিন লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেছিল। সেই টাকা না পেয়ে শানুকে নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে। পুলিশের দাবি, শানু হাওলাদার আত্মহত্যা করেছেন।

বরগুনার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন এ ঘটনা তদন্ত করতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) তোফায়েল আহম্মেদকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছেন।  

(ঢাকাটাইমস/৩০মার্চ/এআইএম/জেবি)