হামলায় আহত ব্যবসায়ীর মৃত্যু

নোয়াখালীর কবিরহাট পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড ইন্দ্রপুর এলাকায় জায়গা নিয়ে বিরোধের জেরে হামলায় আহত ব্যবসায়ী সিদ্দিক উল্যা (৪৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। মঙ্গলবার সকালে জেলা শহর মাইজদীর একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

নিহত সিদ্দিক উল্যা ইন্দ্রপুর গ্রামের আশরাফ আলী মুন্সি বাড়ির মৃত আশরাফ আলী মুন্সির ছেলে।

নিহতের পরিবারের অভিযোগ, সিদ্দিক উল্যার জেঠাতো ভাই ও একই বাড়ির আব্দুল কাইয়ুম বাড়ির রাস্তা দখল করে একটি ঘর নির্মাণ করছে। সিদ্দিক উল্যা গত ২৫ মার্চ বুধবার সকালে রাস্তা দখল করে ঘর নির্মাণ করার প্রতিবাদ করলে তাকে হত্যা করার হুমকি দেয় আব্দুল কাইয়ুম। সিদ্দিক উল্যাকে হত্যা করার জন্য প্রয়োজনে ৫ লাখ টাকা খরচ করবে বলেও হুমকি দেয় কাইয়ুম। ওইদিন দুপুরে স্থানীয় ঘাট মাঝির দোকানে নিজের চা দোকানে কাজ করছিলেন সিদ্দিক উল্যা। এসময় আব্দুল সালামের ছেলে আব্দুল কাইয়ুম, কাইয়ুমের ছেলে গিয়াস উদ্দিন সুমন, এনামুল হকের ছেলে দেলোয়ার হোসেন, সিরাজুল হকের ছেলে মহিন উদ্দিন ও ওলি উল্যাহসহ কয়েকজন এসে সিদ্দিক উল্যার ওপর অর্তকিত হামলা চালায়। হামলাকারীরা সিদ্দিক উল্যাকে দোকান থেকে টেনে রাস্তা উপর এনে এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকে। এসময় সিদ্দিক উল্যার ছেলে আল আমিন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা তাদের দুজনকে পিটিয়ে জখম করে রাস্তায় ফেলে যায়। পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় আহত সিদ্দিক উল্যা ও আল আমিনকে উদ্ধার করে কবিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে পরিবারের লোকজন। সিদ্দিক উল্যার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ২৬ মার্চ সকালে তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ও বিকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য মাইজদী সেন্টাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার সকালে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির্জা মোহাম্মদ হাছান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। হামলার ঘটনায় গত ২৮ মার্চ নিহতের ছোট ভাই নূর উদ্দিন বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে একটি মামলা করেছিলেন। ওই মামলাটি বর্তমানে হত্যা মামলায় নথিভুক্ত করা হবে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

(ঢাকাটাইমস/৩১মার্চ/এলএ)