‘সামাজিক দূরত্ব’ নিশ্চিতে ব্র্যাক ব্যাংকে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ
করোনা-সংক্রমণ ঠেকাতে মানুষে-মানুষে ‘সামাজিক দূরত্ব’(তিন ফুট দূরত্ব) বজায় রাখার নির্দেশনা দিয়েছে দেশের স্বাস্থ্য বিভাগ। কিন্তু সেই ‘সামাজিক দূরত্ব’ অনেকেই মানছেন না। হাট-বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতারা প্রায়ই একে অন্যের গা-ঘেঁষে দাঁড়াচ্ছেন। হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার রক্ষা করছে না। ফলে করোনা-সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞরা।
এই অবস্থায় দেশের অন্যতম বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ‘ব্র্যাক ব্যাংক’ সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিতে তাদের ব্রাঞ্চগুলোতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে।
কাউন্টারের সামনে লাইনে দাঁড়ানোর জন্য গ্রাহকদের জন্য লাল রং দিয়ে চৌকোনা বক্স এঁকে দেয়া হয়েছে। একটি থেকে অন্যটির দূরত্ব তিন ফুট। গ্রাহকরা নির্দিষ্টস্থানে দাঁড়িয়ে সেবা নিচ্ছেন।
ব্যাংকটির এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ইকরাম কবির এমন একটি ছবি তার ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সেবা নেয়ার জন্য গ্রাহকদের ধন্যবাদ জানান।
পোস্টে তিনি বলেন, ‘শাখা অফিসগুলিতে সামাজিক দূরত্ব অনুসরণ করার জন্য আমাদের আগত গ্রাহকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ।’
যেসব শাখা ছুটির মধ্যেও সীমিত আকারে সেবা দিচ্ছে সেখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে ঢাকা টাইমসকে জানিয়েছেন ইকরাম কবির।
এদিকে ব্যাংকের পক্ষ থেকে এক নোটিশে জানানো হয়েছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধের জন্য সরকার ঘোষিত ২৯ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল ছুটি চলাকালীন বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সীমিত আকারে ব্যাংকিং কার্যক্রম চালানোর নির্দেশনা আছে। এই নির্দেশনার আলোকে আমরা আমাদের বেশির ভাগ শাখা খোলা রেখেছি। সকাল দশটা থেকে দুপুর বারোটা পর্যন্ত শাখাগুলো খোলা থাকবে।
শুধু তাই নয়, গ্রাহকদের সুবিধার্থে কাছাকাছি কোন শাখা খোলা আছে তা জানার জন্য ব্যাংকের কল সেন্টার ১৬২২১-এ সহায়তা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
শাখাগুলোতে করোনা প্রতিরোধে পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে জানিয়ে গ্রাহকদের নির্ভয়ে ব্যাংকে যাওয়ার জন্যও বলা হয়েছে নোটিশে।
এছাড়াও করোনার প্রাদুর্ভাবের সময় গ্রাহকরা যাতে প্রতারণা বা হয়রানির হাত থেকে রক্ষা পান সেজন্য সচেতনতামূলক কার্যক্রমও চালাচ্ছে ব্র্যাক ব্যাংক। তাদের প্রচারণা লিফলেটে গ্রাহকদের উদ্দেশে বেশ কিছু নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, প্রাপকের পরিচয় নিশ্চিত না হয়ে টাকা ট্রান্সফার করবেন না। নিজের পিন নম্বর কারো সঙ্গে শেয়ার করবেন না। করোনা সংক্রান্ত কোনো সাইট, লিঙ্ক বা মেইল খোলার সময় সতর্ক থাকুন। এছাড়াও নিশ্চিত না হয়ে কোনো তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে না ছড়ানোরও আহ্বান জানানোর আহ্বান জানানো হয়েছে ব্যাংকের পক্ষ থেকে।
(ঢাকাটাইমস/৩১মার্চ/বিইউ/ এইচএফ)