করোনায় কাশিয়ানী-মুকসুদপুরের কেউ না খেয়ে থাকবে না: ফারুক খান

প্রকাশ | ৩১ মার্চ ২০২০, ১৫:২৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

মহামারি করোনাভাইরাসের দুর্দিনে গোপালগঞ্জ-১ আসনের জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছেন সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান। 

ফারুক খান তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে গোপালগঞ্জ-১ আসন তথা কাশিয়ানী ও মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সের চিকিৎসকদের পার্সোনাল প্রটেকটিভ ইক্যুইপমেন্ট (পিপিই) ও সার্জিকাল মাস্ক দিয়েছেন। জনগণের মাঝে মাস্ক ও জনসচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেছেন।

তিনি নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে চিকিৎসককে জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য দায়িত্ব দিয়েছেন। যারা হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন তাদের সঙ্গে দিনে একাধিকবার যেন চিকিৎসকরা যোগাযোগ করেন সে নির্দেশনা দিয়েছেন।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে জীবাণুনাশক স্প্রে করার জন্য তিনি কাশিয়ানী ও মুকসুদপুর উপজেলা প্রশাসনের উপর দায়িত্ব দিয়েছেন।

কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদ বলেন, উপজেলার ৩হাজার ৩শত পরিবার সরকারের নির্দেশনামোতাবেক খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়া কাশিয়নি উপজেলা অফিসার্স ক্লাবের পক্ষ থেকে ২১০ টি পরিবারেকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

এমপি মহোদয় প্রতিদিন একাধিকার ফোন করে করোনা পরিস্থিতি, খাদ্য  বিতরনের খোঁজ খবর নিচ্ছেন। পাশাপাশি প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও ডাক্তারদের করোনা মোকাবেলায় বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দিচ্ছেন।

মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তসলিমা আলী বলেন, করোনা চিকিৎসা নিয়ে ডাক্তার ,নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। কারণ আমাদের কাছে ইতিমধ্যে পর্যাপ্ত পিপিইসহ চিকিৎসা সাাগ্রী পেয়েছি। যা আমরা ডাক্তার, নার্স ও ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বাস্থ্য কর্মীদের মাঝে দিয়েছি। উপজেলার ১৬ টি ইউনিয়নও একটি পৌরসভার ৪ হাজার ১ শত ৭০ পরিবারকে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

উপজেলায় ১২২ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলো। এর মধ্যে ৬২ জন সুস্থ হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত এলাকয় কোন সংক্রমিতরোগীর খবর পাওয়া যায়নি।করোনা মোকাবেলার সার্বিক পরিস্থিতি এমপি মহোদয় পর্যবেক্ষণ  করছেন। সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তিনি বিষয়টি বিবেচনা করতে বলেছেন।  

ফারুক খান বলেন, ‘আমার এলাকার কোন মানুষ না খেয়ে থাকবে না এবং কেউ বিনা চিকিৎসায় মার যাবে না। আমরা প্রত্যেকের ঘরে খাবার পৌছে দিচ্ছি। সরকার এবং আওয়ামী লীগ সব সময় জনগণের পাশে আছে এবং থাকবে।

আমি আমার নির্বাচনী এলাকা মানুষের পাশে আছি। প্রতিনিয়ত করোনা প্রতিরোধে করণীয় নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।’

ঢাকাটাইমস/৩১মার্চ/এসকেএ