করোনায় খাদ্য ঘাটতি হবে না: প্রধানমন্ত্রীকে কৃষিমন্ত্রী

প্রকাশ | ৩১ মার্চ ২০২০, ১৫:৫৮ | আপডেট: ৩১ মার্চ ২০২০, ১৬:০২

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

উৎপাদন ভালো হওয়ায় করোনাভাইরাসের কারণে কার্যত অবরুদ্ধ দেশে খাদ্য ঘাটতি হবে না প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধের লক্ষ্যে চলমান কার্যক্রম সমন্বয় করতে মঙ্গলবার ৬৪টি জেলার সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রীর সরকা‌রি বাসভবন গণভবন থেকে এই ভিডিও কনফারেন্স হয়। এসময় বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় ঢাকা থেকে সংযুক্ত হন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। 

ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক প্রধামন্ত্রীকে আশ্বস্ত করে বলেন, আমাদের গত কয়েকটি মৌসুমে খাদ্য উৎপাদন ভালো হয়েছিলো। এখন কোন খাদ্য ঘাটতি নেই। করোনার প্রভাবে খাদ্য ঘাটতি হবে না। পর্যাপ্ত খাদ্য আমাদের রয়েছে। আমরা এটা মোকাবেলা করতে পারব।

কৃষিমন্ত্রীর বক্তব্য শুরু করার আগেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষিমন্ত্রীকে বলব খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে’।

এর পর কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমারা আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশ দিয়েছি। আমাদের বর্মকর্তাদের স্টেশনে থাকতে হেব। কৃষি উৎপাদন যেটা আছে সেটা বৃদ্ধি করতে হবে।

‘বর্তমানে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে আমরা আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশ দিয়েছি যে একদম ইউনিয়ন উপজেলা কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সব কর্মকর্তা বাড়িতে যেতে পারবেন না। তাদের কর্মস্থলেই থাকতে হবে। কারণ কৃষি উৎপাদন যেটা বৃদ্ধি করেছি সেটা অব্যাহত রাখতে হবে।’

কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমাদের গত কয়েকটি মৌসুমে খাদ্য উৎপাদন ভালো হয়েছিলো। এ মুহূর্তে খাদ্য ঘাটতি নেই। পর্যাপ্ত খাদ্য আমাদের রয়েছে। আসন্ন বোরো মৌসুমেও গত বছরের তুলনায় খাদ্য বেশি হবে বলে আমরা আশা করছি। আউশের উৎপাদন বাড়াতে কাজ করছি। যেন বেশি এলাকায় আউশ ধান লাগানো হয় সেটা করবো। আমরা এলাকা বাড়াবো।

আগামীতে কীভাবে ফসল উৎপাদন বাড়ানো যায় এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী জানতে চাইলে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মাঠে যে সকল ফসল আছে সেগুলো যেন কৃষক কাটতে পারে। ফসল উৎপাদনে সার, বীজ ও সেচের সরবরাহ যেন কোনোক্রমেই ব্যাহত না হয় সেজন্য আমরা আমাদের কর্মকর্তাদের বলেছি। মাঠের ফসল সঠিকভাবে ঘরে তোলার বিষয়ে পরামর্শ দিতে বলেছি। সচিবালয় থেকে আমাদের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে বিষয়গুলো টেলিফোনে কথা বলছি, সমন্বয় করা হচ্ছে। এ ব্যপারে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজ নিয়ে এ বছর সমস্যা হয়েছিল। এরপর এ বছর পেঁয়াজের উৎপাদন বেড়েছে। পেঁয়াজ কীভাবে অনেক দিন সংরক্ষণ করা যায় সে ব্যাপারে আমরা প্রচারণা চালাচ্ছি। লিফলেট করছি। আগে পেঁয়াজ আমদানি করতে হতো না, মাচা পদ্ধতিতে সংক্ষণ করা হতো। যেন সামনের বছর পেঁয়াজে সমস্যা না হয়। এ ব্যপারে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। 

দেশের বিজ্ঞানীরা লবণাক্ত সহিষ্ণু ধানের জাত আবিষ্কার করেছেন জানিইয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, আউশ ও আমনে যেন এগুলো রোপন করা হয়। এসব ধান লবণাক্ত এলাকায় যেন আবাদ করা হয়ে সেজন্য ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। সার্বিকভাবে কৃষির উৎপাদন যে বেড়েছে সেটা অব্যাহত রাখা এবং আরও বাড়ানোর চেষ্টা করছি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, করোনাকে কেন্দ্র করে খাদ্য নিয়ে কোনো সমস্যা বাংলাদেশে হবে না। আমরা এটা মোকাবেলা করতে পারব। আপনার কর্মসূচি আপনার দূরদর্শীতার ফলে আজ বাংলাদেশ বিশ্বে খাদ্য উদবৃত্ত দেশ।

(ঢাকাটাইমস/৩১মার্চ/জেআর/ইএস)