‘স্বপ্নে’র পণ্য ঘরে পৌঁছে দেবে ‘পাঠাও’

প্রকাশ | ৩১ মার্চ ২০২০, ২০:০৩

তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

মুদিপণ্যসহ নিত্য প্রয়োজনীয় যাবতীয় পণ্য মুহূর্তের মধ্যে গ্রাহকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে পাঠাও সম্প্রতি তার ডেলিভারি সেবা ‘টং’ পুনরায় চালু করেছে। নিজের ভৌগোলিক বিস্তৃতি বাড়াতে দেশের সবচেয়ে বড় খুচরাপণ্যের সুপারশপ চেইন ‘স্বপ্নে’র অংশীদার হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও কুমিল্লাজুড়ে পরিচালিত স্বপ্নের ১৩২টি আউটলেট রয়েছে। এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে কাঙ্ক্ষিত পণ্য ও সেবা পৌঁছে দিবে পাঠাও ‘টং’।   

করোনা সংক্রমণের মুখে বাংলাদেশে সরকারের নির্দেশনা মেনে স্বেচ্ছ্বায় গৃহবন্দী থাকা গ্রাহকদের কাছে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যসমূহ নির্বিঘ্নে পৌঁছে দেয়াই প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অন-ডিমান্ড ডিজিটাল প্লাটফর্ম পাঠাও ‘টং’ এর মূল লক্ষ্য।       

দেশের সবচেয়ে বড় সুপারশপ চেইন ‘স্বপ্নে’র সাথে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন মুদিপণ্য যেমন- প্যাকেটকৃত খাদ্য, পানীয়, ডেইরি পণ্য, হিমশীতল খাদ্য সামগ্রী, মাছ, মাংস, সবজির পাশাপাশি স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবা সারা দেশের ক্রেতা ও গ্রাহকের কাছে তাৎক্ষণিকভাবে পৌঁছে দিবে পাঠাও। পাঠাও টঙের মাধ্যমে অর্ডার দিয়ে ৪০ মিনিটেরও কম সময়ের মধ্যে নিজ ঘরের দরজার সামনে সহজেই নিত্য প্রয়োজনীয় এসব পণ্য পেতে পারেন অ্যাপটির ব্যবহারকারীরা।   

ঢাকায় অবস্থিত ‘স্বপ্নে’র ২৩টি আউটলেট এবং চট্টগ্রামের দু’টি আউটলেট বর্তমানে পাঠাওয়ের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে। পাঠাও অ্যাপের ফুড টালিতে ক্লিক করলেই ‘টং’ দেখা যাবে। এই টঙের মাধ্যমে ‘স্বপ্নে’ ঢুকে প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী অর্ডার করতে পারবেন গ্রাহকরা।    

করোনা সংকটের এই সময়ে ডেলিভারি প্রতিনিধি ও ফুডম্যানরা গ্রাহকের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রতিনিয়ত অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন। এদিক বিবেচনায় বেশি আয়ের সুব্যবস্থা করার মাধ্যমে তাদের পরিবারকে সহযোগিতা করছে পাঠাও।   

এ প্রসঙ্গে পাঠাওয়ের  প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হুসাইন এম ইলিয়াস বলেন, ‘উদ্যোগটি গ্রহণ করতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত। কারণ এর মাধ্যমে গ্রাহকরা নিশ্চিতভাবেই আরও ভালো সেবাপ্রাপ্তির অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ পাবেন। পাশাপাশি একাধিক উপায় বাতলানোর মাধ্যমে এটি তাদের বিকল্প সুযোগ গ্রহণের ক্ষেত্রটিও বিস্তৃত করবে। সংকটকালীন এই সময়ে ডেলিভারি প্রতিনিধিদেরকে সাহায্য করার জন্য আমরা আমাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

(ঢাকাটাইমস/৩১মার্চ/এজেড)