অভুক্ত কুকুরদের পাশে জয়া
মহামারি করোনাভাইরাসের কবলে পড়ে গোটা বিশ্ব এখন অসহায়। আরও বেশি অসহায় হয়ে পড়েছেন দিন এনে দিন খাওয়া মানুষ। তাদের সাহায্যের জন্য অনেকেই মানবিকতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু বেওয়ারিশ পথের অভুক্ত প্রাণীগুলোর কথা কেউ ভাবছে না। পথের অভুক্ত প্রাণীদের প্রতি মায়ার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান।
জয়া আহসানের ফেসবুকে দেখা যায়, তিনি হাতগ্লাভস ও মাস্ক পরে পরম মমতায় পথের অভুক্ত কুকুরগুলোর খাবার খাওয়াচ্ছেন। এ নিয়ে তার ফেসবুকে অনেকে অনেক কথা লিখেছেন।
মঈনুল ওয়াজেদ রাজিব নামে একজন লিখেছেন, চলমান পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে আছেন অনেক মানুষ ও অনেক প্রতিষ্ঠান। কিন্তু সড়কের কুকুরগুলো পাচ্ছে না পর্যাপ্ত খাবার। এই অসহায়-অভুক্ত কুকুরগুলোর পাশে তো তেমন কেউ নেই। অসহায় কুকুরদের কথা ভেবে দুশ্চিন্তায় পড়লেন দুই বাংলার শীর্ষ অভিনেত্রী জয়া আহসান। ব্যস, কোয়ারেন্টিনের চার-দেয়াল মাথা থেকে মুছে ফেললেন। ঢুকে গেলেন রান্নাঘরে। নিজেই তৈরি করলেন ভাত আর মুরগির ঝোল।
মাস্ক আর গ্লাভস পরে খাবারের ব্যাগ হাতে নিয়ে বাসার সহযোগীকে নিয়ে ছুটলেন নগরীর দিলুরোড, ইস্কাটন গার্ডেন ও মগবাজার এলাকার বিভিন্ন স্থানে। ২৭ মার্চ দুপুরের ঘটনা এটি। পরম আনন্দ নিয়ে নিজ হাতে খাওয়ালেন ২৫ থেকে ৩০টি কুকুরকে। টানা পাঁচদিন একইভাবে একই স্পটে একই সময়ে ছুটেছেন খাবার নিয়ে। জানা গেছে, এভাবেই ছুটবেন লকডাউনের দিনগুলোতে।
অনেক শ্রদ্ধা, অনেক ভালোবাসা জয়া আপু।
আলম আশরাফ লিখেছে ,এই ছবি আমার দেখা জয়া আহসানের শ্রেষ্ঠ ছবি। এ পর্যন্ত তার যত ছবি দেখেছি এই ছবিটার মতো মুগ্ধতা আর কোনো ছবি আমার হৃদয়ে ছড়ায়নি। আমি এখনও সকালে একবার বাইরে যাই। হাটাহাটি করি। বের হওয়ার সময় কুকুরদের জন্য বাইরে খাবার রেখে আসি। মাঝে মাঝে পাউরুটি কিনে খাওয়াই। এই সময়টা ওরা আরো অসহায়। ওরা না খেয়ে মারা যাবে। কাজেই ওদের জন্যও সবাই এগিয়ে আসুন। আপনার বাড়তি খাবার না অন্তত পক্ষে উচ্ছিষ্ট খাবারটুকু বাইরে রেখে আসুন।
রোমান রয় লিখেছেন, মানুষদের পাশাপাশি আমাদের চারপাশে বসবাসকারী পশু-প্রাণীদের কথা খুব কম মানুষই ভাবেন। কিন্তু এরমাঝে ব্যতিক্রমও আছেন,যেমন আমাদের প্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান আপা।
"জীবে দয়া করে যেই জন সেই জন সেবিছে ঈশ্বর" লিখেছেন জনি মিয়া।
ঢাকাটাইমস/১এপ্রিল/এসকেএস