এখনই হজ বাতিল নয়, অপেক্ষার আহ্বান সৌদির

প্রকাশ | ০১ এপ্রিল ২০২০, ১২:৪৪ | আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২০, ১২:৫২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস

করোনাভাইরাসের কারণে স্তব্ধ গোটা বিশ্ব। বিভিন্ন দেশ লকডাউন রয়েছে। এমন অবস্থায় এই বছরের হজের আনুষ্ঠানিকতা হবে না সে বিষয়ে এখনই সিদ্ধান্ত নিতে চায় না সৌদি আরব। পরিস্থিতি আরো খানিকটা যাচাই করে দেখতে চায় তারা। এজন্য বিশ্বের মুসলিমদের অপেক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছে সৌদি। খবর আল জাজিরার।

আগামী জুলাই মাসের শেষ দিকে শুরু হবে চলতি বছরের হজের আনুষ্ঠানিকতা। তবে করোনাভাইরাসের কারণে হজের নিবন্ধনসহ বিভিন্ন কার্যক্রম এখনো বন্ধ রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মুসলিমদের হজে অংশগ্রহণের বিষয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

মঙ্গলবার সৌদির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেশটির হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী ড. মোহাম্মদ সালেহ বিন তাহের বেনতেন বলেছেন, হজের প্রস্তুতি নিয়ে এবার তাড়াহুড়ো না করতে মুসলিম দেশগুলোকে অনুরোধ করা হয়েছে। মহামারির গতিপ্রকৃতির ওপর নির্ভর করবে সিদ্ধান্ত। বেশি গুরুত্ব পাবে জনস্বাস্থ্যের বিষয়টি।

প্রতি বচর ২৫ লক্ষাধিক হাজী বিভিন্ন দেশ থেকে মক্কা মদিনায় জড়ো হন। সপ্তাহব্যাপী হজের আনুষ্ঠানিকতা চলে। সৌদি আরবের অর্থনীতির বড় একটি অংশ আসে হজ ওমরার আয় থেকে। আধুনিক সময়ে হজ বাতিলের ঘটনা নজিরবিহীন।

হজমন্ত্রী মোহাম্মদ সালেহ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল আল এখবারিয়াকে জানান, সৌদি আরব হাজ ও ওমরাহ করতে আসা ব্যক্তিদের সেবা দিতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত। কিন্তু বিশ্বব্যাপী মহামারির এই পরিস্থিতিতে বিশ্বের মুসলিমদের ও নাগরিকদের স্বাস্থ্য রক্ষায় সর্বোচ্চ আগ্রহী সৌদি আরব। তাই আমরা সমস্ত দেশের আমাদের মুসলিম ভাইদের হজের নিবন্ধন করার আগে অপেক্ষা করতে বলেছি। পরিস্থিতি স্পষ্ট।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে চলতি মাসের শুরু থেকে ওমরাহ পালন বন্ধ করে দেয় সৌদি সরকার। এছাড়া মুসলিম বিশ্বের পবিত্র দুই মসজিদসহ সৌদির সকল মসজিদে বহিরাগতদের নামাজ বন্ধ করে দেয়া হয়। আজানের শব্দ পরিবর্তন করে ঘরে নামাজ আদায়ের আহ্বান জানানো হয়।

এছাড়া ২৩ মার্চ থেকে দেশজুড়ে কারফিউ ঘোষণা করেছেন বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ। শুরুতে ২১ দিনের জন্য কারফিউ ঘোষণা করা হলেও পরে তা বাড়িয়ে অনির্দিষ্টকাল করা হয়।

সৌদি আরবে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৫৬৩ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। বিশ্বে আক্রান্ত সাড়ে আট লাখের বেশি এবং মৃত্যু হয়েছে ৪২ হাজারেরও বেশি মানুষের।

ঢাকা টাইমস/০১এপ্রিল/একে