১১ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি, পর্যায়ক্রমে চলবে যান

প্রকাশ | ০১ এপ্রিল ২০২০, ১৭:১৪ | আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২০, ১৭:৪৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় সরকারি সাধারণ ছুটি আরও পাঁচদিন বাড়ানো হয়েছে। তাই আগামী ৪ এপ্রিল ছুটি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না। বরং ৫ থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত নতুন করে ছুটি ঘোষণা হয়েছে। তবে ১০ এবং ১১ এপ্রিল শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় অফিস খুলবে ১২ এপ্রিল থেকে।

তবে এই সময়ে জরুরি পরিসেবা সংক্রান্ত দপ্তরগুলো খোলা থাকবে। সেই সঙ্গে যান চলাচলের নিষেধাজ্ঞাও কিছুটা শিথিল হবে।

বুধবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে মঙ্গলবার ছুটি বাড়ানোর প্রস্তাবটির সার-সংক্ষেপ অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়। তিনি অনুমোদন দেওয়ার পর প্রজ্ঞাপন জারি করা হলো।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি-৪ শাখার উপসচিব কাজী মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘আগামী ৫ এপ্রিল থেকে ৯ এপ্রিল ২০২০ তারিখ পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলো। ১০ এবং ১১ এপ্রিল ২০২০ তারিখের সাপ্তাহিক ছুটিও এর সাথে সংযুক্ত থাকবে।’

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, জরুরি পরিসেবার অর্থাৎ বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, ফায়ার সার্ভিস, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট ইত্যাদি ক্ষেত্রে এই ছুটি প্রযোজ্য হবে না।

এছাড়া কৃষি পণ্য, সার, কীটনাশক, খাদ্য, শিল্প পণ্য, চিকিৎসা সরঞ্জাম, জরুরি ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহন এবং কাঁচা বাজার, খাবার, ওষুধের দোকান ও হাসপাতাল এ ছুটির আওতায় পড়বে না।

জরুরি প্রয়োজনে অফিস খোলা রাখা যাবে। প্রয়োজনে ওষুধশিল্প, উৎপাদন ও রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানাগুলো চালু রাখতে পারবে। মানুষের জীবন জীবিকার স্বার্থে রিক্সা-ভ্যানসহ যানবাহন, রেল, বাস পর্যায়ক্রমে চালু করা হবে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জনগণের প্রয়োজন বিবেচনায় ছুটিকালীন বাংলাদেশ ব্যাংক সীমিত আকারে ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু রাখার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিবে।

এর আগে সরকার ২৯ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে। তবে স্বাধীনতা দিবস ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে গত ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি চলছে।

গতকাল মঙ্গলবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারা দেশের করোনা পরিস্থিতির খোঁজখবর নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় তিনি ৬৪ জেলার প্রশাসকদের (ডিসি) সঙ্গে কথা বলেন। তাদের প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেন।

কনফারেন্স চলাকালে এক বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাস প্রতিরোধে আমরা ছুটি ঘোষণা করেছিলাম। প্রয়োজনে সীমিত আকারে ছুটি বাড়ানো হবে।’

(ঢাকাটাইমস/০১এপ্রিল/এইচএফ)