চিলমারীতে সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে অষ্টমির স্নান

প্রকাশ | ০১ এপ্রিল ২০২০, ১৭:৪৭

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

করোনাভাইরাস সতর্কতায় জনসমাগম রোধে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার ব্রহ্মপূত্র নদে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পাপ মোচনের জন্য ঐতিহাসিক ধর্মীয় বড় উৎসব ‘অষ্টমির স্নান’ স্থানীয় উপাজেলা প্রশাসন থেকে স্থগিত করা হলেও মানছেন না হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। বুধবার ভোর থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে কয়েক হাজার পূণ্যার্থী ব্রহ্মপূত্র নদের বিভিন্ন পয়েন্টে ছোট ছোট দলে অষ্টমির পাপমোচন স্নান উৎসবে মেতে ওঠে। এ উপলক্ষে কোথাও কোথাও বসেছে ছোটখাট মেলা।  

এলাকাবাসী জানান, প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা থাকার ফলে এবার পূণ্যার্থীরা মূল পয়েন্ট চিলমারী নৌবন্দরে না গিয়ে ব্রহ্মপূত্র নদকে ঘিরে চিলমারী উপজেলার ফকিরেরহাট, পুটিমারী, জোড়গাছসহ বিভিন্ন এলাকায় নিরাপত্তা বেষ্টনি ফাঁকি দিয়ে ছোট ছোট দলে অস্টমির  স্নানে অংশগ্রহণ করে।

উল্লেখ্য, প্রতিবছর এই দিনে দেশ-বিদেশের লাখ লাখ মানুষ চার-পাঁচ কিলোমিটার এলাকাব্যাপী এই পূণ্য স্নানে অংশ নিলেও করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও জনসমাগম রোধে চিলমারী উপজেলা প্রশাসন এবার এই স্নান উৎসব বাতিল করে। এ নিয়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বী নেতাদের সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসন আলোচনা করে যৌথ উদ্যোগে স্নান উৎসব বাতিল করে। কিন্তু এখন সবাই তা মানছেন না। দল বেঁধে পরিবারের লোকজন উৎসবে অংশ নিচ্ছেন। এছাড়াও স্নান উপলক্ষে বসেছে ছোট খাট মেলা। পুরো ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে।  

চিলমারী সদরের এলএসডি মোড়ের সৌরভ রায়, সবুজ পাড়া এলাকার সঞ্জয় কুমার সরকার ও উজ্জল কুমার জানান, মহামারী করোনা ঠেকাতে দেশে যখন সব মানুষকে নিজ নিজ ঘরে অবস্থান করতে বলা হচ্ছে, তখন কিছু মানুষ সেই নির্দেশনা মানছেন না। এদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কঠোর ব্যবস্থা নেয়া দরকার।

এ ব্যাপারে চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ ডব্লিউ এম রায়হান শাহ জানান, আমরা খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে  পুলিশের সহায়তায় বিভিন্ন জায়গায় সমবেত হওয়া মানুষদেরকে সরিয়ে দিয়েছি। এখন বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ অবস্থান করছে।

( ঢাকাটাইমস/১এপ্রিল/কেএম)