তাড়াশে প্রতিবন্ধী ভাতার তালিকায় ৯ প্রবাসী

শায়লা পারভীন, তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ)
| আপডেট : ০১ এপ্রিল ২০২০, ২১:৩২ | প্রকাশিত : ০১ এপ্রিল ২০২০, ২০:৩৪

তারা সবাই প্রবাসী। বাড়ি তাদের সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার সগুনা ইউনিয়নে। বাস করেন আমেরিকা, লন্ডন ও ইতালিতে। অথচ পাশের বারুহাস ইউনিয়নে প্রতিবন্ধী ভাতার তালিকায় তাদের নাম রয়েছে।

এ চিত্র তুলে ধরে তাড়াশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি আইয়ূবুর রহমান রাজন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন।

তাতে তিনি উল্লেখ করেন, ‘বারুহাস ইউনিয়ন থেকে প্রতিবন্ধী ভাতা পাচ্ছেন সগুনা ইউনিয়ন এর বেশ কয়েকটি প্রবাসী পরিবার। এগুলো দেখে হাসবো না কাঁদবো?’

এর পরপরই ঘটনাটি টক অব দ্যা টাউনে পরিণত হয়। শুরু হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিরাজগঞ্জের তাড়াশে দরিদ্রদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার জন্য বারুহাস ইউনিয়ন পরিষদে তালিকা খুঁজতে যান সোহেল সরকার নামে এক প্রবাসী। সেখানে তিনি সরকারি ওয়েবসাইটে দেখতে পান, হতদ্ররিদ্র প্রতিবন্ধী ভাতার তালিকায় এক থেকে নয়জনের মধ্যে যাদের নাম রয়েছে, তারা সবাই তার নানার বাড়ির সদস্য ও পার্শ্ববর্তী সগুনা ইউনিয়নের বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ধরে তারা সকলেই ইউরোপ, আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে বসবাস করছেন। সোহেল সরকার উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের কাজিপুর গ্রামের সাহাদত সরকারের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে বসবাস করছেন।

সোহেল সরকার জানান, প্রতিবন্ধী ভাতার তালিকায় ১নং জহিরুল ইসলাম জুয়েল ইতালিতে বসবাস করছেন, ২নং জাহাঙ্গীর আলম রুবেল আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে বসবাস করেন, ৩নং জাকারিয়া ইসলাম ও ৪নং জয়নাল আবেদীন রোজ লন্ডনে বসবাস করেন, ৫নং জহুরা খাতুন (তার নানি) লন্ডনে বসবাস করেন, ৬নং কামরুজ্জামান ইতালিতে বসবাস করেন, ৭নং বিউটি খাতুন লন্ডনে বসবাস করেন, ৮নং সাথী ও ৯নং বিদ্যুতের নাম দেওয়া আছে। তার দুজনেও বর্তমানে লন্ডনে বসবাস করছেন।

বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী ও লন্ডনপ্রবাসী জয়নাল আবেদীন রোজ তার ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘বারুহাস ইউনিয়নের প্রতিবন্ধী ভাতার তালিকায় থাকা ওই নয়জনই ইউরোপ ও আমেরিকা প্রবাসী। যথাযথ ব্যবস্থাগ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রতি অনুরোধ করছি।’

এ প্রসঙ্গে বারুহাস ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোক্তার হোসেন জানান, প্রতিবন্ধী ভাতার তালিকা অনেক আগে থেকেই করা। সেভাবেই রয়ে গেছে। তবে অন্য ইউনিয়নের লোকজনের নাম থাকার কথা না।

তার এ কথায় সন্তুষ্ট হতে পারেননি এলাকাবাসী। তাদের বক্তব্য, মোক্তার হোসেন ওই ইউনিয়নে টানা দুইবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। দীর্ঘ নয় বছরেও তার দৃষ্টিতে বিষয়টি ধরা পরেনি- এটা হতে পারে না।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আলাউদ্দিন বলেন, তিনি সদ্য যোগদান করেছেন। তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইফ্ফাত জাহান বলেন, এখন তো অফিস বন্ধ। অফিস খোলার পর তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/১এপ্রিল/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :