অলস সময় কাটাচ্ছেন ফিলিং স্টেশনের কর্মীরা

প্রকাশ | ০২ এপ্রিল ২০২০, ০৮:০২

কাজী রফিক, ঢাকাটাইমস

করোনাভাইরাসে থমকে আছে বিশ্ব। বিশ্বের প্রায় দুই শতাধিক দেশে হানা দিয়েছে প্রাণঘাতী ভাইরাসটি। তাদের মধ্যে আছে বাংলাদেশেও। রোগটি থেকে বাঁচতে ঘরে বন্দী মানুষ। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে লঞ্চ, ট্রেন বিমান এবং সড়কপথের যোগাযোগ ব্যবস্থা। যে রাজধানীর সড়কে গাড়ির কারণে সবসময় যানজট লেগেই থাকতো এখন সেই রাজধানীর সড়কে গাড়ির চলাচল তেমন চলাচল নেই। সড়কে গাড়ি না থাকায় অসল সময় কাটাচ্ছেন ফিলিং স্টেশনের কর্মীরা।

দেশব্যাপী চলমান সাধারণ ছুটির কারণে সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকায় এমন দশা। স্বাভাবিকের তুলনায় জ্বালানি বিক্রি নেমে এসেছে ১০ শতাংশেরও নিচে।

বুধবার রাজধানীর কয়েকটি ফিলিং স্টেশন ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া যায়।

মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধের বুড়িগঙ্গা ফিলিং স্টেশনের কর্মীরা জানান, বর্তমানে জ্বালানি বিক্রি নামমাত্র।

ফিলিং স্টেশনটির হিসাবরক্ষক বজলুর রহমান ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘খুব খারাপ অবস্থা। রাস্তায় গাড়ি চলে না তাই আমাদের বিক্রি কমে গেছে। আগে যেখানে প্রতিদিন ১ লাখ টাকা বিক্রি হতো সেখানে এখন ১০ হাজার টাকাও বিক্রি হয় না।‘ বিক্রি না থাকায় অসল সময় পার করছেন কর্মীরা, নেই ব্যস্ততা। যে সময় ব্যস্ততা চরমে থাকার কথা, কর্মীদের সে সময় কাটছে গল্পগুজব করে।

স্টেশনটির কর্মী মোজাম্মেল হোসেন বলেন, ‘গাড়ির সংখ্যা কমে যাওয়া তিন শিফটেই সবাই বসেই থাকি। ঘন্টায় দুই তিনটির বেশি গাড়ি আসছে না।‘

সাধারণ সময়ের সঙ্গে বর্তমান অবস্থার পার্থক্য জানিয়ে মোজাম্মেল বলেন, ‘অন্য সময়ে ৮ ঘন্টার ডিউটি টাইমের মধ্যে ২০ মিনিটও অবসর পেতাম না। দুই দিকে গাড়ির লাইন থাকতো। প্রতি শিফটে আমরা ৮ জন করে কাজ করি। কিন্তু এই লকডাউনের কারণে এখন বসেই কাটাতে হচ্ছে। বেচা বিক্রি নাই। রাস্তায় গাড়ি নেই।‘

তবে কাজ না থাকলেও মাস শেষে বেতন নিয়ে শঙ্কিত নন এখানকার কোনো কর্মী। হিসাবরক্ষক বজলুর রহমান বলেন, ‘আমাদের মালিক ভালো। তিনি আমাদের বেতন নিয়ে কোনো চিন্তা না করার আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা ৩২ জন কর্মী আছি।‘

শুধু বুড়িগঙ্গা ফিলিং স্টেশন নয়, একই চিত্র দেখা গেছে বেড়িবাঁধের সাদেক খান পাম্প, দারুস সালাম এলাকার খালেক পাম্পসহ আশপাশের সকল ফিলিং স্টেশনগুলোতে। ফিলিং স্টেশনে কর্মী থাকলেও দেখা নেই গাড়ির, নেই সে পুরনো ভিড়। এসব ফিলিং স্টেশনের বিক্রির সঙ্গে বেশিরভাগ কর্মীর মাসিক বেতন জড়িত। ফলে বিক্রি না থাকায় গত মাসের বেতন সঠিক সময়ে পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় কর্মীরা।

ঢাকাটাইমস/০২এপ্রিল/কারই/এমআর