রাজশাহী কারাগারে দ্বিগুণের বেশি বন্দি, বাড়ছে দুশ্চিন্তা

রিমন রহমান, রাজশাহী ব্যুরো প্রধান
| আপডেট : ০২ এপ্রিল ২০২০, ১০:০০ | প্রকাশিত : ০২ এপ্রিল ২০২০, ০৮:০৮
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার (ফাইল ছবি)

রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে যে ওয়ার্ডে ৫০ জন বন্দি থাকার কথা সেখানে গাদাগাদি করে থাকেন অন্তত ১২০ জন। গায়ের সঙ্গে গা লাগিয়ে তাদের ঘুমাতে হয় রাতে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সরকার যেখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলছে সেখানে কারাগারে এটি নিশ্চিত করার কোনো ব্যবস্থাই নেই। বিষয়টি ভাবাচ্ছে কারা কর্তৃপক্ষকে।

রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার গিয়াস উদ্দিন বলেন, কারাগারে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার কোনো উপায় নেই। এটি একটি বড় সমস্যা। কোনোভাবে একজন আক্রান্ত ব্যক্তি কারাগারে চলে এলে যে কী হবে সেটা নিয়েই দুশ্চিন্তা রয়েছে। তবে আমরা সতর্ক আছি। বন্দিদের সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখছি। সময়মতো গোসল, হাতধোয়া-এগুলো আমরা নিশ্চিত করছি। পাশাপাশি নতুন বন্দি এলে কারা ফটকেই চিকিৎসক দিয়ে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হচ্ছে।

কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দির ধারণক্ষমতা ১ হাজার ৪৫০ জন। তবে বুধবার হাজতি এবং কয়েদি মিলে বন্দির সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার ৪০০ জন। মার্চের শুরুর দিকে এ সংখ্যা একটু কম ছিলো। এখন আদালতে জামিন শুনানি বন্ধ। কিন্তু প্রতিদিনই আসামি গ্রেপ্তার হচ্ছে। তাদের কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। এতে কারাগারে বাড়ছে বন্দির সংখ্যা।

রাজশাহী মহানগর জজ আদালতের পুলিশ পরিদর্শক আবুল হাশেম জানান, আদালতে বিচারক আছেন। ছোট-খাটো যেসব মামলার জামিন গ্রেপ্তারের পরই সম্ভব তাদের জামিন দিচ্ছেন। কিন্তু বড় মামলার আসামিদের কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। এদের আবার জামিনের আবেদন করতে পারছেন না আইনজীবীরা। পুরনো যেসব বন্দি কারাগারে আছেন তাদেরও জামিন শুনানি হচ্ছে না। ফলে কারাগারে বন্দি আসামির সংখ্যা বাড়বে এটাই স্বাভাবিক।

তবে বিষয়টি সরাসরি স্বীকার করেননি রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার গিয়াস উদ্দিন। তিনি বলেন, আদালতে জামিন শুনানি বন্ধ হয়ে যাওয়ার আগে ৪০০ বন্দির জামিন হয়েছে। এছাড়া প্রতিদিন কোনো না কোনো কয়েদির সাজার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তাদের মুক্তি দেয়া হচ্ছে। এর বিপরীতে এখন আসামি আসছেন কম। ফলে কারাগারে আগে যে রকম বন্দি থাকতেন এখনও সংখ্যাটা মোটামুটি সে রকম। তবে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণেরও বেশি বন্দি আছেন, এটা ঠিক। করোনাভাইরাস নিয়ে বর্তমান পরিস্থিতিতে এটা একটা ভয়ের ব্যাপার।

গিয়াস উদ্দিন আরও জানান, কারাগারে প্রতিদিন নতুন যেসব বন্দি আসছেন তাদের ১৪ দিন আলাদা করে রাখা হচ্ছে। আর কারাফটকেই চিকিৎসক তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন। অসুস্থ কেউ থাকলে তাকেও পুরোপুরি আলাদাভাবে রাখা হচ্ছে। বুধবার কারাগারে এ রকম ৩৫ জন বন্দি আছেন।

ঢাকাটাইমস/২এপ্রিল/আরআর/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

বিল বকেয়ায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন, অবৈধ বিদ্যুতে চলছে ইউপি কার্যালয়

কেজি দরে অপরিপক্ব তরমুজ, পিস চাইলে দাম আকাশ ছোঁয়া

লক্ষ্মীপুরে যুবলীগ নেতার চোখ উপড়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা

ফেনী সরকারি কলেজে শিক্ষার্থীদের গণইফতারে ছাত্রলীগের হামলা, আহত ১০

মধ্যরাতে ফের মিয়ানমারের গুলির শব্দে কেঁপে উঠল টেকনাফ সীমান্ত

উত্তরবঙ্গের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক, দুর্ঘটনা তদন্তে ৪ সদস্যের কমিটি

বরগুনা প্রেসক্লাবের নামে ভুয়া কমিটি গঠনের অভিযোগ 

ঝিনাইদহে বাজার নিয়ন্ত্রণে ভোক্তা অধিকারের অভিযান, ৩ প্রতিষ্ঠানে জরিমানা

যারা ট্রেনে আগুন দেয় তারাই ভাড়া বৃদ্ধির গুজব ছড়ায়: রেলমন্ত্রী

আলফাডাঙ্গায় দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :