সড়কে সেনাবাহিনী, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার আহ্বান

প্রকাশ | ০২ এপ্রিল ২০২০, ১২:৫৭ | আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০২০, ১৫:১৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বেলা সাড়ে ১১টা। রাজধানীর পান্থপথ মোড়ে খণ্ড খণ্ড মানুষের জটলা। হঠাৎ সাইরেনের আওয়াজ। দূর থেকে দেখা যাচ্ছে সেনাবাহিনী হ্যান্ড মাইকে কিছু একটা বলছে। এরই মধ্যে খণ্ড খণ্ড জটলাগুলো ভেঙে যে যার মতো করে এদিক-সেদিক সরে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা ও সচেতনতার জন্য আজ বৃহস্পতিবার থেকে রাজধানীর সড়কে সড়কে  টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী। তাদের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে পুলিশও। টহলরত সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে রাজধানীবাসীকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার আহ্বান জানানো হচ্ছে। একইসঙ্গে প্রয়োজন ব্যতীত কাউকে সড়কে বের না হওয়ার জন্য নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।

সরেজমিনে রাজধানীর গ্রিন রোড, পান্থপথ, কলাবাগান, বাংলামোটরসহ কয়েকটি এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে গত মাসের ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করে সরকার। পরে এই সময়সীমা  ৯ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। 

মূলত করোনা ঠেকাতে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার জন্য ছুটি ঘোষণা করে সরকার। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ঢাকাবাসী তিনদিনের হোম কোয়ারেন্টিন মানলেও চতুর্থ দিন থেকে অনেকেই অপ্রয়োজনেও সড়কে নেমে পড়ে। জনসাধারণের মধ্যে এ ব্যাপারে উদাসীনতা চলে আসায় কড়াকড়ি আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সে লক্ষ্যে গতকাল রাতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক বার্তায় জানানো হয়, সেনাবাহিনী বৃহস্পতিবার থেকে দেশের সব স্থানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং হোম কোয়ারান্টাইনের বিষয়টি কঠোরভাবে নিশ্চিতে কাজ করবে। সরকার প্রদত্ত নির্দেশাবলী অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

গতকাল সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভা শেষে জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় যত প্রয়োজন, তত সেনাসদস্য দেওয়া হবে।

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা ও সচেতনতার জন্য বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করতে গত ২৪ মার্চ থেকে মাঠে নেমেছে সশস্ত্র বাহিনী। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তারা মাঠে থাকবে।

বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম তিনজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্তের সংবাদ আসে। আজ পর্যন্ত দেশে মোট ৫৬ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। আর মারা গেছেন ছয়জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৬ জন।

(ঢাকাটাইমস/০২এপ্রিল/এনআই/এমআর)