নতুন বই লিখছেন ‘ঘরবন্দী’ ড. মোশাররফ

প্রকাশ | ০২ এপ্রিল ২০২০, ১৩:২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

মরণঘাতী করোনায় সব কিছু থমকে গেছে। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বেশিরভাগ মানুষ ঘরবন্দী। কবে নাগাদ এই পরিস্থিতির উত্তরণ হবে তা নিশ্চিত করে বলার উপায় নেই। তাই এই সময়টাতে ঘরে থাকলেও নানা কাজে ব্যয় করছেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও একাধিকবারের সাংসদ ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ হোসেন ধর্মকর্ম, বই পড়া ও নতুন বই লেখার কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখছেন বলে ঢাকা টাইমসকে জানিয়েছেন।

রাজনীতিবিদ হিসেবে এলাকায় বেশ জনপ্রিয় ড. মোশাররফ হোসেনের কাছে প্রতিদিন নিজ এলাকার অনেক নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের যাতায়াত ছিলো। কিন্তু করোনার পর সেটা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।

বুধবার সকালে মোবাইলে অপরপ্রাপ্ত থেকে নিজের ব্যস্ততার কথা জানাতে চাইলে ঢাকাটাইমসকে তিনি বলেন, ‘ভালোই কাটছে। পড়াশোনা করছি। বাসায় সব ধরণের ভিজিটর অ্যালাউ করা হচ্ছে না। তাই বেশ সময় পাচ্ছি। পুরোটাই কাজে লাগানোর চেষ্টা করছি।’

ঘরে বসে সময় কাটছে কিভাবে জানতে চাইলে মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘ধর্মপালন করছি, নিয়মিত কোরআন তেলাওয়াত করছি। আমি জেলে গেলেও বই পড়তাম, বই লিখতাম। এখনো তাই করছি। নতুন বই লেখার কাজে সময় ব্যয় করছি।’

কোন ধরণের বই লেখা হচ্ছে জানতে চাইলে বিএনপির এই নেতা বলেন, আমার ইতিমধ্যে নয়টি বই বের হয়েছে। গতমাসেও দুটি বই প্রকাশিত হয়েছে। সামগ্রিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের ওপর বই লেখার কাজ করছি।

পুরোপুরি ঘরে থাকার সময় বেশ কিছু দৈনিকে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কলাম লিখেছেন জানিয়ে সাবেক এই স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যে ফেসবুকে সচেনতামূলক বক্তব্য পোস্ট করেছি। লাখ লাখ মানুষ তা দেখেছে। সামনে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলার পরিকল্পনা আছে।

মোশাররফ হোসেন বলেন, সন্ধ্যার পর বারান্দা ও ছাদে হাঁটাহাঁটি করি। রুটিন করে সব কিছু হচ্ছে। এটা আসলে সবার জন্য দরকার। কারণ লকডাউনের ফলে উন্নত অনেক দেশের মানুষ মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়তেছে। তারা মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি খুবই যত্নবান। আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও কিন্তু বলেছে এই অবস্থায় হতাশ হয়ে ঘরে বসে থাকলে হবে না। চিত্তবিনোদন দরকার।

সবশেষ সবাইকে নিজের এবং পরিবারের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ঘরে অবস্থান করার পরামর্শ দেন সাবেক বিএনপির এই নেতা।

(ঢাকাটাইমস/০২এপ্রিল/বিইউ/এমআর)