শাহবাগ এলাকায় দুই ঘণ্টা

প্রকাশ | ০২ এপ্রিল ২০২০, ১৭:৫৪

জহির রায়হান, ঢাকাটাইমস

বৃহস্পতিবারের সকাল। সচরাচর সপ্তাহের এই শেষ দিনটা নানান ব্যস্ততা দিয়ে শুরু করে রাজধানীবাসী। তবে এখন পরিস্থিতি ভিন্ন। সকাল সাড়ে নয়টা। রাজধানীর হাতিরপুল এলাকা নীরব। এখান থেকে পরীবাগ হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যাল হাসপাতালে ভেতর দিয়ে যাওয়ার সময়ও ওই নীরবতার ছেদ পড়েনি কোথাও।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে জনজীবনে নেমেছে স্থবিরতা। চলছে টানা সরকারি ছুটি। একারণে বর্তমানে রাজধানীর পথেঘাটে এমন থাকাটাই স্বাভাবিক। মানুষ খুব জরুরি না হলে ঘরবাড়ি থেকে থেকে বের হচ্ছে না।

বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে দেখা গেল এক অচেনা পরিবেশ। আশেপাশে দুই একজন হেঁটে  যাচ্ছেন। অথচ এখানে এমন সময় ডাক্তার দেখানোর জন্য সিরিয়াল নিতে রোগীর লম্বা লাইন থাকে। কাউন্টারে-কাউন্টারে থাকে ভিড়। ঢাকা ওয়াসার গাড়ি দেখা গেল  কনোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে পানি ছিটাতে।

শাহবাগে বারডেম হাসপাতালের গেটের সামনে একজনকে দেখলাম স্প্রে ছিটাচ্ছে রিক্সাতে। জীবানুনাশক তরলমিশ্রিত পানি নিয়ে এসেছেন বাসা থেকে। এখন রোগীকে রিক্সায় ওঠানোর আগে তিনি এটা করছেন।

বারড়েম হাসপাতালের সামেন কথা হলো এক রোগীর সঙ্গে। তিনি জানান, চোখের ডাক্তার দেখানোর জন্য তাকে আসতে আজ আসতে বলা হয়েছে। তাই করোনা আতঙ্কের মধ্যে তাকে আসতে হয়েছে।

তিনি বলেন, এ মাসের শুরুতে বারডেমের বইতে আজকের তারিখে আসতে বলা হয়েছিল। কিন্তু এসে দেখি চোখের সব বিভাগই বন্ধ।  হাসপাতাল  কর্তৃপক্ষ অন্য সেবা বন্ধ থাকার বিষয়ে আগে ঘোষণা  দিলে কষ্ট করে আর আসতে হতো না।

বেলা এগারোটার দিকে শাহবাগ এলাকা ছিল একেবারে ফাঁকা। কেউ যাতে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হতে না পারে সেটা দেখার জন্য পুলিশকে  তৎপর দেখা গেছে।

শাহবাগ পয়েন্টের বটতলার ফুল মার্কেটের সব দোকান বন্ধ। তবে ফুটপাতে এসব বন্ধ দোকানের কোনো কোনোটাই  শুকনো ফুল দেখা যাচ্ছিল।

শাহবাগ থেকে কাঁটাবন মোড় হয়ে সাড়ে এগারটার দিকে হাতিরপুলের কাচাঁবাজারে দেখা গেল হাতেগোনা কয়েখজন বাজার করছেন। কমবেশি দোকানই খোলা রয়েছে। তবে ক্রেতা নেই বললেই চলে।

(ঢাকাটাইমস/০২এপ্রিল/জেআর/ডিএম)