৫ এপ্রিল থেকে সীমিত পরিসরে ডাকঘর খোলা থাকবে

প্রকাশ | ০২ এপ্রিল ২০২০, ১৯:৪৮

তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

৫ এপ্রিল থেকে দেশের সকল জিপিও, প্রধান ডাকঘর সমূহ জরুরি প্রয়োজনে জনস্বার্থে সীমিত পরিসরে সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এসময় এ সকল ডাকঘর থেকে বিশেষ ব্যবস্থায় ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকের লেনদেন এর পাশাপাশি সীমিত আকারে ই-কমার্স, মোবাইল মানি অর্ডার এবং পার্সেল সেবা প্রদানের জন্য কাউন্টার খোলা থাকবে।

দেশব্যাপী করোনা ভাইরাস রোগ (কোভিড-১৯) এর সংক্রমণ মোকাবেলা এবং এর ব্যাপক বিস্তার রোধকল্পে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে সরকার কর্তৃক ঘোষিত ছুটিকালীন সময়ে জনস্বার্থে ডাকসেবা অব্যাহত রাখা হচ্ছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার এর নির্দেশনায় শর্ত সাপেক্ষে সীমিত আকারে ডাকঘর খোলা রাখতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

গৃহীত সিদ্ধান্তের আওতায়  উপজেলা ডাকঘরসমূহ সীমিত পরিসরে উপর্যুক্ত সেবাসমূহ প্রদানের জন্য খোলা থাকবে। তবে, এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পোস্টমাস্টার জেনারেল বা ডেপুটি পোস্টমাস্টার জেনারেলগণ স্থানীয় প্রশাসনের সাথে নিবিড় যোগাযোগ রেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

জেলা পর্যায়ে জরুরি ডাক পরিবহন সেবা প্রদানের জন্য বিশেষ ব্যবস্থায় সীমিত আকারে ডাক বিভাগের নিজস্ব মেইল গাড়ি  শুধুমাত্র দিবাভাগে চলাচল করবে; উপজেলা পর্যায়ে মেইল চলাচলের ক্ষেত্রে স্থানীয় পোস্টমাস্টার জেনারেলগণ/ডেপুটি পোস্টমাস্টার জেনারেলগণ স্থানীয় প্রশাসনের সাথে পরামর্শক্রমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। 

মেট্রোপলিটন শহরসমূহে সাব পোস্ট অফিস সমূহ সীমিত আকারে খোলা রাখা যাবে; এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পোস্টমাস্টার জেনারেলগণ অফিসসমূহ নির্দিষ্ট করবেন।  

ক্যাশ সঞ্চালন ও ট্রেজারি লেনদেন এর জন্য ডাক বিভাগের নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থা উপযুক্ত নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ সাপেক্ষে সীমিত পরিসরে চলাচল করবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ ট্রেজারি লেনদেন ও নিরাপত্তার বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা গ্রহণ করবেন।  

ই-কমার্স ও পার্সেল গ্রহণ ও প্রেরণের ক্ষেত্রে জীবন রক্ষাকারী ঔষধ ও করোনা ভাইরাস মোকাবেলা সংক্রান্ত সামগ্রী অগ্রাধিকার পাবে।

সকল ই-কমার্স ও পার্সেল গ্রহণের সময় ডাকদ্রব্যের গায়ে প্রেরক ও প্রাপকের মোবাইল নম্বর উল্লেখ করতে হবে। ই-কমার্স ও পার্সেল শুধুমাত্র বিতরণকারী ডাকঘর থেকে (Window Delivery) গ্রাহক গ্রহণ করতে পারবেন। ঘরে ঘরে কোন ডাকদ্রব্য বিতরণ করা হবে না। 

ই-কমার্স ও পার্সেল এর প্রাপককে সংশ্লিষ্ট ডাকঘর থেকে ডাকদ্রব্য সম্পর্কে মোবাইল ফোন এর মাধ্যমে অবহিত করা হবে।    পারস্পরিক ডাক বিনিময় (Radial System) পদ্ধতিতে জিপিও ও প্রধান ডাকঘর কেন্দ্রিক ডাক বাছাই, ডাক ব্যাগ বন্ধন ও ডাক প্রেরণ করতে হবে। 

সকল স্তরের কর্মচারিদের পাওনা বেতন ভাতাদি সংশ্লিষ্ট ডাকঘর থেকে পরিশোধ নিশ্চিত করতে হবে। সকল অবসরভোগীদের অবসর ভাতা পরিশোধ নিশ্চিত করতে হবে; ক্ষেত্রমত অবসরভোগীগণ উপযুক্ত প্রতিনিধির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ডাকঘর থেকে অবসর ভাতা উত্তোলন করতে পারবেন।

ডাক অধিদপ্তরসহ সকল প্রশাসনিক দপ্তর সীমিত পরিসরে কার্য পরিচালনা করবে। মেট্রোপলিটন শহর এলাকায় ডাকঘরসমূহে কর্মচারিদের অফিসে যাতায়াতের জন্য যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক পরিবহন সুবিধা স্থানীয় পোস্টমাস্টার জেনারেল/ডেপুটি পোস্টমাস্টার জেনারেলগণ নিশ্চিত করবেন। 

উপজেলা পর্যায়ের ডাকসেবা, সঞ্চয় ব্যাংক লেনদেন ও মেইল পরিবহনের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ডেপুটি পোস্টমাস্টার জেনারেল এবং পরিদর্শকগণ নিবিড় তদারকি নিশ্চিত করবেন।   

ছুটিকালীন সময়ে ডাকঘরে কর্মরত সকলকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ মোকাবেলায় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অফিস প্রধান নিবিড় তদারকি নিশ্চিত করবেন।

(ঢাকাটাইমস/২এপ্রিল/এজেড)