ত্রাণ না পেয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বিক্ষোভ

প্রকাশ | ০২ এপ্রিল ২০২০, ২২:৪১ | আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০২০, ২২:৪৩

যশোর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

যশোরে সরকারি ত্রাণ না পেয়ে দেড় শতাধিক নারী-পুরুষ যশোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বিক্ষোভ করেছেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার এই সময়ে শত শত নারী-পুরুষ বসে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন ত্রাণের দাবিতে। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ফটক বন্ধ করলে তারা কার্যালয় চত্বরে অবস্থান নেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে যশোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এই দৃশ্য দেখা গেছে।

এর আগে বেলা ১০টার পর থেকে যশোর পৌর কমিউনিটি সেন্টারে ত্রাণ বিতরণ করে যশোর পৌরসভা। ত্রাণ বিতরণকালে হাজারো লোক সেখানে ভিড় করে। হুড়োহুড়িতে নাভিশ্বাস অবস্থা তৈরি হয়। এক পর্যায়ে দুপুরে ত্রাণ বিতরণ শেষ হয়ে যায়। তখনও ত্রাণের অপেক্ষায় ছিলেন শত শত নারী পুরুষ। এ অবস্থায় ত্রাণ না পেয়ে বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেন তারা। পরে বেলা দেড়টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অবস্থান নেন।

যশোর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ন্ডের বাসিন্দা আনোয়ারা বলেন, ‘আমি স্বামী পরিত্যক্তা। এক ছেলে আছে সেও প্রতিবন্ধী। প্রতিদিন ভিক্ষা করে সংসার চালাতাম। পৌরসভার বাসিন্দা হয়েও ত্রাণ পাচ্ছি না। পৌরসভার ত্রাণ গরীব লোকে পাই না; পাচ্ছে বড়ো লোকেরা’।

পালবাড়ি পুলিশ লাইন বস্তি এলাকার বাসিন্দা জাফর শেখ বলেন, ‘তিন দিন ধরে আসছি। কিছুই পাইনি।  চাল নিতে আসার কারণে তাড়িয়ে দিয়েছে পৌরসভার লোকজন। তাই আমরা ডিসি স্যারের কাছে এসেছি। কিন্তু তিনি আমাদেরও কথা শুনলেন না।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ বলেন, এখন পর্যন্ত যশোর জেলায় ২০ হাজার পরিবারকে সরকারি ত্রাণ দেয়া হচ্ছে। কিছু লোক ত্রাণ না পেয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়। পরে পৌরসভার মেয়রের সঙ্গে কথা বলেছি। পরে বিক্ষোভকারীরা চলে যায়।

যশোর পৌরসভার সচিব আজমল হোসেন বলেন, যশোর পৌরসভায় পাঁচ হাজার পরিবারকে এখন পর্যন্ত ত্রাণ দেয়া হয়েছে। যারা বিক্ষোভ করেছেন তাদের পৌরসভার ত্রাণের তালিকায় তাদের কোনো নাম নেই। জেলা প্রশাসক স্যার যশোর পৌরসভাকে অবহিত করলে তাদের ডেকে এনে ত্রাণ দেয়ার ব্যবস্থা করেছে যশোর পৌরসভা।

প্রসংগত শহরের খড়কী এলাকায় যশোরের পুলিশ সুপার আশরাফ হোসেন জেলা পুলিশের 

উদ্যোগে ৩৫০ জন অসহায় মানুষকে ঘরে রাখতে ত্রাণ বিতরণ করেন। সেখানেও সব মানুষের অভিযোগ তারা কেউ সরকারি ত্রাণ পাই নাই। এর আগে চার দিন পুলিশ সুপার বিভিন্ন এলাকায় খেটে খাওয়া মানুষকে ঘরে রাখতে ত্রান বিতরণ করেন।

(ঢাকাটাইমস/২এপ্রিল/কেএম)