লকডাউনে হাতের কাছে রাখবেন যেসব জিনিস

ফিচার ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৩ এপ্রিল ২০২০, ১১:০৮

করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে বিশ্বে মানবজাতির এক পঞ্চমাংশ লকডাউনের মধ্যে রয়েছে। এক কথায় বলতে গেলে গৃহবন্দি জীবন। লকডাউনের সহজ অর্থ ‘জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সব কিছুই বন্ধ থাকবে। এ অবস্থায় বদলে গেছে জীবনযাপন। লকডাউনে তৈরি হয়েছে নতুন নতুন বিধি-নিষেধ। লকডাউন অবস্থায় রোজ রোজ ব্যাগ নিয়ে প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে বাজারে ভিড় না করে একটু প্ল্যান করে নিন। তা হলেই সার্থক হবে লকডাউন। সুস্থ থাকবেন সকলে। জরুরি কোন কোন সামগ্রী এই সময় অবশ্যই কিনে রাখা দরকার।

একেবারে সাধারণ কিছু খাবার বাড়িতে রেখে দিন। তবে সরকার থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের জোগান স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিছু সময়ের জন্য খোলা থাকছে বাজারও। তাই একেবারেই বেশি খাবার মজুদ করবেন না।

প্রত্যেক বাড়িতেই জরুরি কিছু সাধারণ ওষুধের প্রয়োজন। যেমন জ্বর-সর্দি-কাশি-পেটের সমস্যা, অ্যাসিডিটি। এই ধরনের কিছু সমস্যার ওষুধ হাতের কাছে থাকলে, প্রয়োজনে বার বার বাড়ি থেকে বের হওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।

পানীয় জলের জোগানও যেন যথাযথ হয়, সে দিকে বিশেষ নজর দিন। বিশেষ করে যাদের বাড়িতে পানীয় জলের সরবরাহের ব্যবস্থা নেই, যাদের বাইরে থেকে পানি কিনে আনতে হয় বা অনেকটা দূর থেকে জল বয়ে আনতে হয়, তাঁরা একটু বেশি পরিমাণ জল মজুত করে রাখুন বাড়িতে।

রান্নাঘরে বা বাড়ির অন্যান্য কাজকর্ম করার সময় হাতে-পায়ে ব্যথা লাগতেই পারে। তাই ফার্স্ট এইড কিট তৈরি রাখুন।

বাড়িতে বাচ্চা থাকলে, তাদের খাওয়া-দাওয়া এবং অন্যান্য জিনিসপত্রের প্রয়োজন হয়। বেবি ফুড এবং বাচ্চার প্রয়োজনীয় দৈনন্দিন সামগ্রী কিনে রাখুন। কারণ দোকান খোলা থাকলেও, এই সময় বার বার বাইরে না বেরনোই সকলের জন্য মঙ্গল।

পোষ্যদেরও বিশেষ যত্ন নিতে হয়। তাদের খাবারের জোগানের যেন কোনও ঘাটতি না হয়, সেটাও মাথায় রাখা দরকার।

গৃহবন্দি থাকার সময় যদি লোডশেডিং হয়, তার জন্য আগাম মোমবাতি বা বিকল্প আলোর ব্যবস্থা করে রাখুন।

আপনার ফ্লাশলাইট, হিয়ারিং এইড, স্মোক ডিটেক্টর ইত্যাদি যে সমস্ত প্রয়োজনীয় সামগ্রী ব্যাটারিতে চলে, সেগুলোর জন্য অতিরিক্ত ব্যাটারি বাড়িতে রয়েছে তো? না থাকলে অবশ্যই কিনে আনুন।

গৃহবন্দি থাকাকালীন নিজেকে অবসাদমুক্ত রাখার অন্যতম উপায় হল বিনোদন। তাই বিনোদনের ব্যবস্থা ঠিকঠাক রয়েছে কি না দেখে নিন আরও এক বার।

এই সময় বাইরের সমস্ত কাজকর্ম বন্ধ ঠিকই, কিন্তু কখন কী প্রয়োজন পড়ে, তা কি আগে থেকে বলা সম্ভব? তাই নিজের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি, যেমন পরিচয়পত্র, ব্যাঙ্কের নথি-সব কিছু হাতের কাছে রাখুন।

আপনি যদি দৈনন্দিন জিম করতে অভ্যস্ত হন, এবং নিজের স্বাস্থ্য নিয়ে অত্যন্ত সচেতন হন, তা হলে বাড়িতেও টুকটাক জিম চালিয়ে যেতে পারবেন, এমন কিছু যন্ত্রাদি সঙ্গে রাখতে পারেন।

বাথরুমে প্রয়োজনীয় শ্যাম্পু, সাবান, টয়লেট পেপার-অর্থাত্ যা যা আপনার নিয়মিত কাজে লাগে, সেগুলোও দেখে নিন সব যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে কি না।

লকডাউনে ব্যায়াম করার জন্য জায়গা নির্বাচিত করে রাখুন। ব্যায়াম করার জন্য যেসব জিনিস প্রয়োজন আগেভাগে হাতের কাছে রাখুন। সবসময় খেয়াল রাখবেন, শরীরে কোনও সমস্যা দেখা দিচ্ছে কি না, সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

বাড়িতে থাকতে একঘেয়ে লাগতে পারে, মনে দানা বাঁধতে পারে হতাশাও! তা থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে আবার গাদাগাদা মদ-সিগারেট বাড়িতে না আনাই ভাল৷ এতে উল্টো আরও ক্ষতি হবে।

(ঢাকাটাইমস/৩এপ্রিল/আরজেড/এজেড)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

ফিচার এর সর্বশেষ

খাওয়ার পরপরই চা পান উপকার না ক্ষতি? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা

জ্বরের মধ্যে যে পাঁচ খাবার খেলেই বিপদ! জানুন, সাবধান হোন

গরমে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে ডায়াবেটিস রোগীদের! সুস্থ থাকবেন যেভাবে

মুখে দুর্গন্ধের কারণে হা করতেও অস্বস্তি লাগে? সমাধান কী জানুন

লিভার ভালো রাখে লাউ! ওজন এবং উচ্চ রক্তচাপও থাকে নিয়ন্ত্রণে

কিডনি ভালো রাখে আমের পাতা! উচ্চ রক্তচাপও থাকে নিয়ন্ত্রণে

ইফতার ও সাহরিতে বাহারি আয়োজন ধানমন্ডির দ্য ফরেস্ট লাউঞ্জে

বারবার ফোটানো চা খেলেই মারাত্মক বিপদ! বাঁচতে হলে জানুন

সহজলভ্য যেসব খাবার দৃষ্টিশক্তি করে ঈগলের মতো

স্ট্রোক ও উচ্চ রক্তচাপসহ নানা রোগের নেপথ্যে অনিদ্রা! সমাধান কী?

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :