করোনার চিকিৎসায় যক্ষ্মার টিকা কতটা কার্যকর?

প্রকাশ | ০৩ এপ্রিল ২০২০, ২০:৪৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা একটি গবেষণা শেষ করেছেন৷ তারা জানতে পেরেছেন, যে দেশগুলোতে যক্ষ্মার টিকা দেয়া বাধ্যতামূলক, সেসব দেশে করোনা ভাইরাসে মৃত্যু কম হচ্ছে৷

নিউ ইয়র্ক ইনস্টিটিউট অব টেকনোলোজি (এনওয়াইআইটি)-র গবেষকরা বলছেন, করোনায় সবচেয়ে বেশি (১৩,৯১৫ জন) মানুষ মারা যাওয়া ইতালিতে কখনো সার্বজনীনভাবে যক্ষার টিকা (বিসিজি) দেয়া হয়নি৷ সেখানে শুধুমাত্র যাদের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনা করা হয় তাদের এই টিকা দেয়া হয়৷

সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্তের দেশ যুক্তরাষ্ট্রেও (২,৪৫,৫৭৩ জন) ইতালির মতোই ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনা করে বিসিজি টিকা দেয়া হয়৷

এনওয়াইআইটির গবেষণাটি এখনো প্রকাশ করা হয়নি৷ অন্য গবেষকদের পর্যালোচনার জন্য স্বাস্থ্য বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে সেটি রাখা হয়েছে৷

যক্ষ্মার বিরুদ্ধে লড়তে ১৯২০-এর দশকে বিসিজি টিকা আবিষ্কার করা হয়েছিল৷ বর্তমানে বিশ্বের ১৩ কোটির বেশি শিশুকে প্রতিবছর বিসিজি টিকা দেয়া হচ্ছে৷

সাধারণত একটি টিকা একটি নির্দিষ্ট প্যাথোজেনের বিরুদ্ধে কার্যকর হয়ে থাকে৷ অর্থাৎ কাউকে কোনো রোগের টিকা দিলে সেটি শুধু নির্দিষ্ট ঐ রোগের বিরুদ্ধে শরীরে প্রতিরোধক্ষমতা গড়ে তোলে, যাকে বলে ‘অ্যাডাপ্টিভ ইমিউন সিস্টেম’৷

কিন্তু অনেক বিজ্ঞানী মনে করছেন, বিসিজি টিকা হয়ত এর চেয়ে আরেকটু বেশি কার্যকর৷ তাদের ধারণা, এই টিকা হয়ত যক্ষ্মার জন্য দায়ী ব্যাক্টেরিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করার পাশাপাশি ব্যাক্তির ‘ইনেট ইমিউন সিস্টেম'ও শক্তিশালী করতে পারে৷ এটি সেই ইমিউন সিস্টেম, যা শরীরে কোনো ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে মেরে ফেলার চেষ্টা করে৷

এ কারণে অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, যুক্তরাজ্য ও নেদারল্যান্ডসে করোনা মোকাবিলায় বিসিজি টিকা কতখানি কার্যকর তা জানার চেষ্টা চলছে৷ এই টিকা করোনা আক্রান্ত রোগীর শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত লক্ষণ কমাতে পারে কিনা তা জানতে চাইছেন বিজ্ঞানীরা৷

অস্ট্রেলিয়ার প্রায় চার হাজার হাসপাতাল কর্মীর ওপর এই টিকার কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হবে৷ বিসিজি টিকার কার্যকারিতা জানতে কয়েক মাস লেগে যাবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা৷

সূত্র: ডয়েচে ভেলে।

ঢাকাটাইমস/০৩এপ্রিল/ইএস