অ্যান্টি-প্যারাসাইটিকে মরবে করোনা, দাবি গবেষকদের

প্রকাশ | ০৪ এপ্রিল ২০২০, ০৯:৪৫

স্বাস্থ্য ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণ করতে এই মুহূ্র্তে গোটা বিশ্বের গবেষকেরা ল্যাবরেটরিতে গবেষণায় দিনপার করছেন। কয়েক দিনের মধ্যে আমেরিকার তৈরি ভ্যাকসিনের হিউম্যান ট্রায়ালও শুরু হয়ে যাবে। ভ্যাকসিন তৈরির দৌড়ে আছে অস্ট্রেলিয়াও। কিন্তু, যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা সেরে বাজারে আসতে আসতে করোনার থাবার আরও অন্তত লক্ষাধিক মানুষ মারা পড়বেন। কিন্তু, তার আগেই আশার আলো দেখাচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ারই প্রথমসারির এক বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ টিম।

মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই গবেষকদের দাবি, অ্যান্টি-প্যারাসাইটিক (Antiparasitic) বা পরজীবীনাশক ওষুধেই মরবে করোনাভাইরাস। তারা আরও জানান, এই অ্যান্টি-প্যারাসাইটিকে মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই ধরাশায়ী হবে করোনাভাইরাস (coronavirus)।

গবেষকরা আরও জানাচ্ছেন, অ্যান্টি-প্যারাসাইটিক ওষুধ ইভারমেকটিন একটি ডোজই করোনাভাইরাস থামিয়ে দিতে পারে। সম্প্রতি অ্যান্টিভাইরাল রিসার্চ জার্নালে এই গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে। অনুমোদিত এই ওষুধটি এইচআইভি, ডেঙ্গি এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা-সহ ভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকর।

মোনাশ বায়োমেডিসিন ডিসকভারি ইনস্টিটিউটের ওই গবেষকদলের অন্যতম ডক্টর ক্যালিয়ে ওয়াগস্টাফ শুক্রবার বলেন, 'আমরা দেখেছি, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সমস্ত ভাইরাল আরএনএ থেকে মুক্তি দিতে পারে ইভারমেকটিনের একটি ডোজ।

তবে, এই ওষুধটি শুধুমাত্র ল্যাবেই পরীক্ষামূলক ভাবে প্রয়োগ হয়েছে। এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত রোগীর শরীরে পরীক্ষা করে দেখা হয়নি। তবে গবেষকারা আশাবাদী, ইভারমেকটিনের এক ডোজই মানব কোষে বেড়ে ওঠা করোনাভাইরাসকে থামিয়ে দিতে পারবে। তিনি জানান, মানবদেহে ওষুধটির সঠিক ডোজ নির্ধারণের জন্য আরও কয়েক দফায় পরীক্ষা করতে হবে। এর কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে তবেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে তাঁরা পৌঁছবেন।

ডক্টর ক্যালিয়ে ওয়াগস্টাফের কথায়, করোনায় বিশ্বব্যাপী মহামারী দেখা দিয়েছে। এর অনুমোদিত কোনও চিকিত্সা নেই। বর্তমান প্রেক্ষিত বিবেচনা করে এমন একটি যৌগ তৈরি করতে হবে, বিশ্বের সর্বত্র পাওয়া যায়।

করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ এর থাবায় শুক্রবার, ৩ এপ্রিল পর্যন্ত গোটা বিশ্বে ৫৮ হাজার ১৩৬ জন মারা গিয়েছেন। আক্রান্ত ১০ লক্ষ ৮১ হাজার ২৮৫ জন। ২ লক্ষেরও বেশি আক্রান্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

(ঢাকাটাইমস/৪এপ্রিল/এজেড)