সনজীদা খাতুনের ৮৭ তম জন্মদিন আজ

প্রকাশ | ০৪ এপ্রিল ২০২০, ১১:১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বাঙালি সাহিত্য-সংস্কৃতি অঙ্গনের উজ্জ্বল নক্ষত্র, ছায়ানটের সভাপতি বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী অধ্যাপক সনজীদা খাতুনের ৮৭তম জন্মদিন আজ। ১৯৩২ সালের ৪ এপ্রিল তিনি ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বিশিষ্ট সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ ও সংস্কৃতি ব্যক্তিত্ব ড. কাজী  মোতাহার হোসেনের কন্যা। তার মায়ের নাম সাজেদা বেগম।

ভাষা আন্দোলনে সহযোগ, রবীন্দ্র-শতবর্ষ উদযাপন, বটমূলে বাংলা বর্ষবরণের আয়োজন ইত্যাদির মাধ্যমে বাঙালিত্বের দৃঢ় ভিত গঠনে সনজীদা খাতুনের অবদান অবিস্মরণীয়।  

ছোটবেলা থেকেই তিনি সঙ্গীত ও সংস্কৃতি চর্চার মধ্য দিয়েই বেড়ে উঠেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে যোগ দেন।

তিনি ১৯৫৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর করেন। ১৯৬১ সালে স্বামী বিশিষ্ট রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী ও সাংবাদিক ওয়াহিদুল হকের সাথে ছায়ানট প্রতিষ্ঠা করেন। এ সংগঠনের মধ্যদিয়ে ষাট দশক থেকে সঙ্গীত ও বাঙালি সংস্কৃতি জাগরণের আন্দোলনে কাজ করে যাচ্ছেন।

দেশ স্বাধীনের পর ছায়ানটের মাধ্যমে সারাদেশে সঙ্গীত ও সংস্কৃতি কর্ম ছড়িয়ে দেন। রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ গঠন করেন। তিনি এই সংগঠনের সভাপতি। সঙ্গীত, সংস্কৃতি, শিক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সনজীদা খাতুনের বেশ কিছু গ্রন্থ প্রকাশ হয়েছে।

তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে আছে কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত, রবীন্দ্রসঙ্গীতের ভাসম্পদ, ধ্বনি থেকে কবিতা, রবীন্দ্রনাথ: তাঁর আকাশ ভরা কোলে, নজরুল-মানস, রবীন্দ্র কবিতার গহনে, সহজ কঠিন দ্বন্দ্বে ছন্দে, প্রভাতবেলার মেঘরৌদ্র, শান্তিনিকেতনের দিনগুলি।

সাহিত্য ও সংস্কৃতি অঙ্গনে বিশেষ ভূমিকা এবং অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের রবীন্দ্র-পুরস্কার, বিশ্বভারতীর দেশিকোত্তম সম্মাননায় ভূষিত হন।

বিশিষ্ট গবেষক, লেখক ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক তার সম্পর্কে জানান, সনজিদা খাতুন ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে তার জীবনের পুরো সময়ই কাটিয়েছেন রবীন্দ্র সঙ্গীত, নজরুল গীতি, লোক সঙ্গীত প্রসারের জন্য। ১৯৬২ সালে রবীন্দ্র সঙ্গীতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানী সরকারের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে যে আন্দোলন হয়, তাতে তিনি নেতৃত্ব দেন। ছায়ানট প্রতিষ্ঠা করে সঙ্গীত ও সংস্কৃতির উন্নয়নেই তিনি বেশি সময় কাটান।

(ঢাকাটাইমস/ ৪ এপ্রিল/ এইচএফ)