করোনার মাঝেও আদালতে মানুষ
করোনাভাইরাসের কারণে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে ঘরে থাকার সরকারি নির্দেশনা দেয়া হলেও নানান প্রয়োজনে মানুষকে বের হতে হচ্ছে। আদালত প্রাঙ্গণেও দেখা গেছে অনেককে।
শনিবার সরেজমিনে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে গিয়ে দেখা যায়।শিশুসহ বেশ কয়েকজন নারী-পুরুষকে। করোনার প্রতি তাদের কোনো পরোয়া নেই!
বসে আছেন এক নারী, প্রতিবেশী মাছ ব্যবসায়ী শফিকুলের সঙ্গে তার বিয়ে হইয়েছিল। তখন বয়স ছিল ১১ বছর। জোর করে তুলে নিয়ে বিয়ে করেন শফিকুল। এরপর সংসার শুরু হলো।
মুরসালিন বলেন, ‘সংসারে সব সময় ঝামেলা লেগেই থাকতো। শফিকুল কারণে অকারণে আমাকে মারধর করতো। এ কারণে বেশিরভাগ সময়ই মায়ের কাছে থাকতাম। তারপরও টেকেনি সংসার।’
সম্প্রতি শফিকুল মুরসালিনাকে তালাক দিয়েছেন। এ মামলায় আদালতে উপস্থিত হয়েছেন তিনি।
আরেকজনকে দেখা যায় বসে থাকতে দেখা যায় আদালতের বারান্দায়। সঙ্গে আরো দুই সন্তান। কেন আদালতে এসেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আতঙ্কের মধ্যে মানুষ কি এমনি আদালতে আসে। গতকাল রাতে পুলিশ স্বামীকে ধরে নিয়ে গেছে। তাইতো তো এসেছি।’
এদিকে, কামরাঙ্গীরচরে ২০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার এক আসামি মাস খানেক জেলে থেকে জামিনে আছেন। সেদিন ছিল তার মামলার প্রথম ধার্য তারিখ। এজন্য আদালতে এসেছেন হাজিরা দিতে। তার সঙ্গে স্ত্রী আমেনা খাতুন এসেছেন মেয়েকে নিয়ে। এ সময় কেন আদালতে এসেছেন জানতে চাইলে বলেন স্বামীর সাথে এসেছি।’
করোনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের করোনা হবে না!’
জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ফারুক হোসেন বলেন, বিপদের দিনে মানুষ আদালতে আসবেই। ২০ বছরের ওকালতি জীবনে এমন বাস্তবতা দেখছি। আর কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করতে হয় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। এজন্যও অনেককেই আদালতে আসতে হয়।
ঢাকা টাইমস/৪এপ্রিল/এআইএম/ইএ