ঠান্ডা কাশিতে ঘরে বসে ডাক্তারের সেবা
আজ বাংলাদেশসহ সারা পৃথিবীর মানুষ করোনা আতঙ্কে আতঙ্কিত। কোভিড-19 বা নোবেল করোনা আজ এক আতঙ্কের নাম। মৃত্যু দূত এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে নয় লাখেও বেশি এবং মৃতের সংখ্যা ৪২ হাজারেরও বেশি। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও দেখা দিয়েছে এই মরণব্যাধি। দেশে পর্যন্ত পরিমাণ চিকিৎসা কিট এবং পরীক্ষার ব্যবস্থা না থাকায় বাংলাদেশে ঠিক কতজন করোনা আক্রান্ত তা নিশ্চিত নয়।
ঠান্ডা কাশি কিংবা জ্বরে আক্রান্ত হয়ে অনেকে পাচ্ছেন না কোনো সেবা এমনকি পরীক্ষা পর্যন্ত করা হচ্ছে না এমন অসংখ্য অভিযোগ আছে রোগীদের। ঠিক তখনই বন্ধুর মতো ডাক্তারের সেবার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিসিন ইউনিটের ইনডোর চিকিৎসক ডা. মুদ্দাচ্ছির রাহমান। তিনি ব্যক্তিগত ফোন নাম্বারটি দিয়ে বলেছেন’ যখনই কেউ এসময় চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্য জানতে চাইবেন । তিনি তাৎক্ষণিক জানাবেন। পাশে থাকবেন। ফোনে চিকিৎসা সেবা দিবেন।
করোনা ভাইরাসের লক্ষণ সাধারণ অন্যান্য ফ্লুয়ের মতো । এমনকি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হবার চৌদ্দ দিন পর্যন্ত বুঝতেও পারবেন না যে মারাত্মক এই ভাইরাসে আপনি আক্রান্ত। কেননা প্রাথমিক অবস্থায় ঠান্ডা, কাশি এবং জ্বর এই রোগের উপসর্গ যা বর্তমান ঋতু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট সাধারণ অন্যান্য ফ্লুয়ের মতো।
তাই প্রাথমিকভাবে বোঝা সম্ভব নয় যে এটি করোনা ভাইরাস কিনা। কমপক্ষে চৌদ্দ দিন পর জানা যায় হাচি কাশিতে আক্রান্ত ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত কিনা । রোগীর নমুনা পরীক্ষার ফলাফল হাতে পাওয়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত জানা সম্ভব নয় করোনা দ্বারা রোগী আক্রান্ত কিনা এবং রোগটি অত্যন্ত ছোঁয়াচে হওয়ার ফলে অনেক ডাক্তার চিকিৎসা দিচ্ছেন না রোগীদের।
আবার অনেক ডাক্তারই চেম্বারের সামনে লিখে রেখেছেন "এখানে ঠান্ডা কাশিতে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা করা হয় না " এমনকি অনেক সরকারি বেসরকারি হাসপাতালেও রোগীদের ভোগান্তির কোনো সীমা নেই। হাসপাতালগুলোতে গিয়ে পাওয়া যাচ্ছে না ডাক্তার। দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর রোগীর লাইন। ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করেও মিলছে না ডাক্তারের দেখা ।
কাশি জ্বর নিয়ে রোগীরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন এক ডাক্তারের চেম্বার থেকে অন্য ডাক্তারের চেম্বারে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে। বাড়ছে আতঙ্ক ভয় এবং সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে রোগও। অনেকে এসকল ভোগান্তির ভয় ছাড়াও ঘরে বসে ঠান্ডা কাশি জ্বর নিয়ে কষ্ট করছেন যদি করোনা ভাইরাস ধরা পরে এই ভয়ে কিংবা কোয়ারেন্টাইনে যাবার ভয়ে।
অনেকেই আছেন বিনা চিকিৎসায় আবার কেউ কেউ পাশের ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনে খাচ্ছেন যা অত্যন্ত ভয়ঙ্কর এবং ক্ষতিকর নিঃসন্দেহে। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবনের ফলে আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দিন দিন কমে যায় যা আমরা নিজেরাই জানি না। নিজের অজান্তেই আমরা আমাদের ক্ষতি করছি।
তাহলে কি উপায়? কি করার আছে এই অবস্থায়? কোথায় গেলে মিলবে সঠিক সেবা? নাকি বিনা চিকিৎসায় ঘরে বসে ভুগতে হবে কষ্টে,ধুকে ধুকে এগিয়ে যেতে হতে পারে মৃত্যুর দিকে। এমন অনেক আশংকার প্রশ্ন এখন বাংলাদেশের প্রায় সকল মানুষের মনে। এতসব ভয় আর শংকার প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে "না "।
বিনা চিকিৎসায়, ডাক্তারের চেম্বার কিংবা হাসপাতালে ঘুরে আর কষ্ট পেতে হবে না। এখনও এমন কিছু মানুষ আছে যাদের হৃদয় কাঁদে অন্যর কষ্টে। ব্যথিত হন অন্যের ব্যথায়। কিছু ডাক্তার যেমন সেবা দিতে নারাজ ঠিক তেমনি কিছু ডাক্তার সেচ্ছায় সেবার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন এই দুঃসময়ে মানুষের কাছে। এই ভয়াবহ দুঃসময়ে সেবা নিতে পারেন আমার ডা. বন্ধু মুদ্দাচ্ছিরের কাছ থেকে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালের ডাক্তার ডা. মুদ্দাচ্ছির রাহমান। দেশের এই ভয়ঙ্কর সময়ে ভুক্তভোগী মানুষের সেবায় হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। যেখানে অনেক ডাক্তার সেবা দিতে অনিচ্ছুক সেখানে মুদ্দাচ্ছির সেবার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে সবার জন্য।
শুধু পরিবার পরিজন বন্ধু বান্ধব নয় তার এই সেবা নিতে পারবে দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে যেকোনো মানুষ তার নিজ ঘরে বসে । হাজার হাজার মানুষ যারা সেবা না পেয়ে কষ্ট পাচ্ছে তাদের কাছে সেবা পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর তিনি।
কিন্তু একলা একজন মানুষের পক্ষে তো আর এত মানুষের বাসায় গিয়ে সেবা প্রদান সম্ভব নয়। তাই সকলের জন্য তার পরামর্শ যারা ঠান্ডা কাশি কিংবা জ্বরে আক্রান্ত তারা বাসায় থাকুন। অবশ্যই সব ধরনের জনসমাগম এড়িয়ে চলুন। অন্তত, চৌদ্দ দিন পর্যন্ত পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের থেকে আলাদা থাকুন।
বার বার সাবান কিংবা স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করুন। উষ্ণ গরম পানি পান করুন এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার বেশি পরিমাণে গ্ৰহণ করুন।
এছাড়াও এসময় কি ধরনের ওষুধ সেবন করবেন তা সরাসরি জানার জন্য ডাঃ মুদ্দাচ্ছির তার ব্যক্তিগত মুঠোফোনের নম্বর দিয়েছেন । পরামর্শ গ্ৰহণের জন্য যে কোনো সময় যেকোন রোগী কিংবা রোগীর পরিবারের সদস্যরা ফোন করে সেবা গ্ৰহণ করতে পারেন ডাক্তার কাছ থেকে।
তাই অযথা আতঙ্কিত না হয়ে সর্দি কাশি কিংবা ঠান্ডা জ্বরে আক্রান্ত হলে বাসার বাইরে যেয়ে ডাক্তারের কাছে ছোটাছুটি না করে ঘরে বসে সেবা গ্ৰহণ করুন। কেননা না এই সময় করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায় বহুগুণ।
তাই ঘরে বসে সেবা নিন দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে যেকোনো সময় ডাক্তার বন্ধু মুদ্দাচ্ছিরের কাছ থেকে। নিজে সচেতন হোন এবং ভালো থাকুন। নিজের পরিবার ও দেশের মানুষকে ভালো রাখুন। প্রয়োজনে ডাক্তার মুদ্দাচ্ছির রাহমানের সাথে যোগাযোগের করুন।
যোগাযোগে- ডা. মুদ্দাচ্ছির রাহমান, ইনডোর অফিসার ঢাকা মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতাল, মেডিসিন ইউনিট -১১, মোবাইল- 01717734553
ঢাকাটাইমস/৪এপ্রিল/এসকেএস