করোনা: জর্ডানে খাদ্য সংকটে ৩০ হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি

প্রকাশ | ০৪ এপ্রিল ২০২০, ১৯:২০ | আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০২০, ১৯:৩১

ইউরোপ ব্যুরো, ঢাকাটাইমস

চরম খাদ্য সংকটে রয়েছেন জর্ডানে কর্মরত প্রায় ৩০ হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি। জর্ডানের আম্মান, আকাবা, আলতাজুমা, জারকাসহ বিভিন্ন এলাকায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা না খেয়ে দিন যাপন করছেন। এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশ দূতাবাস আম্মান জর্ডানের পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।

জর্ডান সরকার কারফিউ জারি করায় প্রায় ৩০ হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি এতে চরম বিপাকে পড়েছেন। একদিকে যেমন তাদের কাজ নেই, অন্য দিকে কারফিউ জারি থাকায় কেউ দৈনিক ভিত্তিতে কাজে যেতে পারছেন না।

রাজধানী আম্মানের আবু সাঈদ নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশি জানান, তারা দৈনিক বেতনে কাজ করতেন; কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে এখন তাদের কাজ নেই।

জারকার নিলুফা নামে এক বাংলাদেশি নারী কর্মী জানিয়েছেন, তারা দিন বা সপ্তাহভিত্তিতে কাজ করতেন; কিন্তু এখন জর্ডানের কোন বাসায় করোনাভাইরাসের কারণে কাজে নিচ্ছে না। এই জন্য তাদের হাতে কোন অর্থ নেই। এসকল প্রবাসী বাংলাদেশির অতিদ্রুত প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী দিতে বাংলাদেশ সরকার ও বাংলাদেশ দূতাবাস আম্মানের নিকট আবেদন জানিয়েছেন।

নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের সব দোকান সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকলেও চরম অর্থ সংকটে প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী ক্রয় করতে পারছে না অবৈধ প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন আনুমানিক  প্রায় ৩০ হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি।

এদিকে জর্ডানের শিল্পাঞ্চল আল তাজুমায় এলাকায় আসাদুজ্জামান, বিল্লাল হোসেন, মেজবা উদ্দিন, ফজলুল হক, সাদ্দাম, আল আমিনসহ কিছুসংখ্যক সহৃদয়বান প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্যোগে বয়স্ক এবং অসুস্থ বাংলাদেশিদের বাসায় শনিবার ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানান। তারা জর্ডানে কর্মরত সচ্ছল ও প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের এই আপদকালে সহযোগিতার আহবান জানিয়েছেন।

জর্ডানের গার্মেন্টসগুলোতে সবচেয়ে বেশি অভিবাসী শ্রমিক বাংলাদেশের। অনেক গার্মেন্টস বন্ধ রয়েছে। ইতোমধ্যে শনিবার থেকে বেশকিছু গার্মেন্টসে কাজে যোগ দিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা শ্রমিকেরা। অনেক গার্মেন্টস মালিক আশংকা করছেন এভাবে চলতে থাকলে তাদের সকল ক্রয় আদেশ বাতিল হলে এবং শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে তাদের পক্ষে দুরুহ হয়ে পড়বে।

(ঢাকাটাইমস/৪এপ্রিল/এলএ)