রাজশাহীতে সাংবাদিক পেটালেন এএসআই

প্রকাশ | ০৪ এপ্রিল ২০২০, ২০:৫৭ | আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০২০, ২১:০৮

ব্যুরো প্রধান, রাজশাহী

রাজশাহীতে অকারণে এক চিত্রসাংবাদিককে পিটিয়েছেন পুলিশের একজন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই)। নির্যাতনের শিকার চিত্রসাংবাদিকের নাম রুবেল ইসলাম। তিনি সংবাদভিত্তিক বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন নিউজের রাজশাহীর ক্যামেরাপার্সন।

শনিবার বিকালে রাজশাহী মহানগরীর বুধপাড়া এলাকায় রুবেলের বাড়ির সামনেই এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর অভিযুক্ত এএসআই মো. আরিফকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তিনি নগরীর উপকণ্ঠ কাটাখালি পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন।

সাংবাদিকরা তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন।

ভুক্তভোগী রুবেল জানান, বিকালে পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য তিনি মোটরসাইকেল নিয়ে বাসা থেকে বের হন। এ সময় বাড়ির সামনের মোড়ে একদল পুলিশ জনসমাগম ঠেকাতে অভিযান চালাচ্ছিল। রুবেল সেদিকে গেলে এএসআই আরিফ জানতে চান তিনি কেন মোটরসাইকেল নিয়ে বের হয়েছেন। এ সময় রুবেল নিজের পরিচয় দেন।

তখন আরিফ সাংবাদিকদের সম্পর্কে কটূক্তি করে রুবেলের ওপর চড়াও হন। এ সময় বাড়ি থেকে মাত্র ৩০ গজের মধ্যেই রুবেলকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটাতে শুরু করেন এএসআই আরিফ। একপর্যায়ে তাকে পুলিশের গাড়িতে তোলার চেষ্টা করা হয়। তখন রুবেলের পরিবারের সদস্যরা গিয়ে তাকে রক্ষা করেন।

এরপর রুবেল বিষয়টি কাটাখালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) অবহিত করেন। এছাড়া অবহিত করেন রাজশাহীর সাংবাদিক নেতাদেরও।

এর কিছুক্ষণ পর এএসআই আরিফ সাংবাদিক রুবেলের বাড়ি গিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের না জানানোর জন্য অনুরোধ করেন। তবে এরই মধ্যে সাংবাদিক নেতারা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবহিত করেন। পরে আরিফকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।

ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থাগ্রহণের দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাজী শাহেদ, সাধারণ সম্পাদক তানজিমুল হক, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি মামুন-অর-রশিদ, রাজশাহী ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোশিয়েশনের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ, সাধারণ সম্পাদক সামাদ খান এবং রাজশাহী টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোশিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাবিবুর রহমান পাপ্পু ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান শ্যামলসহ অন্যান্য সাংবাদিকবৃন্দ।

জানতে চাইলে রাজশাহী মহানগর পুলিশের মতিহার জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার একরামুল হক বলেন, এএসআই আরিফ যেটা করেছেন- সেটা খারাপ করেছেন। এর মাশুল তাকে দিতে হবে। ইতোমধ্যে তাকে পুলিশ ফাঁড়ি থেকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। ঘটনাটি নিয়ে আমরা বিব্রত।

(ঢাকাটাইমস/৪এপ্রিল/এলএ)