তিনজন করোনা আক্রান্ত, সিঙ্গাইর পৌর এলাকা লকডাউন

প্রকাশ | ০৫ এপ্রিল ২০২০, ১৯:১৪ | আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২০, ১৯:১৬

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলায় তাবলিগে আসা এক ব্যক্তির পর এবার এক নারী স্বাস্থ্যকর্মী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক। এ ছাড়া তার স্বামীও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

রবিবার বিকালে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সেকেন্দার আলী মোল্লাহ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আক্রান্ত ওই নারী ঢাকার মিরপুরের টোলারবাগে থাকেন। তাকে ঢাকার উত্তরায় কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, স্বামী ও সন্তানদের নিয়ে মিরপুরের টোলারবাগের একটি বাসায় থাকেন ওই নারী। সেখান থেকে তিনি সিঙ্গাইর উপজেলায় পেশাগত দায়িত্ব পালন করেন। গত ২৬ মার্চ তিনি সর্বশেষ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অফিস করেন। তবে অসুস্থতাজনিত কারণে এরপর আর তিনি অফিসে আসেননি। করোনাভাইরাসের উপসর্গ সর্দি-জ্বর হলে শনিবার স্বাস্থ্যকর্মী ও তার স্বামী ঢাকার রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) যান। সেখানে নমুনা পরীক্ষার পর স্বাস্থ্যকর্মী ও তার স্বামীর করোনা আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়। এরপর তাদের ঢাকার উত্তরায় কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের আইসোলেশনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের দুই সন্তানের কারোরই করোনার উপসর্গ দেখা দেয়নি।

ঢাকার মিরপুরের টোলারবাগের যে বাসায় ওই স্বাস্থ্যকর্মী থাকতেন, বাসাটি লকডাউন করেছে স্থানীয় প্রশাসন। তার সংস্পর্শে আসা পরিবারের সদস্য হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সেকেন্দার আলী মোল্লাহ বলেন, ওই স্বাস্থ্যকর্মীর সংস্পর্শে আসা ১১ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা-কর্মচারীও রয়েছেন। তাদের কোয়ারেন্টিনে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ দিকে উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, শনিবার রাতে সিঙ্গাইর পৌর এলাকার একটি মাদ্রাসায় তাবলিগে আসা এক ব্যক্তির (৬০) করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর পৌর এলাকা লকাডউন ঘোষণা করেছে প্রশাসন। তাকে ঢাকার রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা (আইইডিসিআর)-এর তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার সংস্পর্শে আসা তাবলিগ জামাতের বাকি ১২ মুসল্লি, স্থানীয় ছয়জন ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্যসহ ২৮ জনকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৮ জনকে মাদ্রাসা এবং বাকিদের নিজ নিজ বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন।

(ঢাকাটাইমস/৫এপ্রিল/এলএ)