করোনা আতঙ্কে কেউ এলো না, সৎকারে চার মেয়ে

প্রকাশ | ০৫ এপ্রিল ২০২০, ২১:১০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

করোনা রুখতে সারা ভারতজুড়ে চলছে লকডাউন। প্রতি মুহূর্তে বলা হচ্ছে, বাঁচতে হলে একমাত্র অস্ত্র সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। এবার সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার অজুহাতে এক ব্যক্তির মৃতদেহ সৎকারে কেউ এগিয়ে আসেনি। কোনো উপায় না পেয়ে তার চার মেয়েই বাবার মৃতদেহ শ্মশানে বয়ে নিয়ে সৎকার করে। আতঙ্কের কারণে কেউ এগিয়ে না এলেও লোকটি মূলত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাননি।

এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের আলিগড়ে। মৃত ব্যক্তির নাম সঞ্জয় কুমার।

স্থানীয় সূত্রে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, আলিগড়ের নুমাইশ ময়দানের চা-হেলিংয়ের বাসিন্দা ছিলেন বছর ৪৫ বছরের সঞ্জয় কুমার। পেশা চা বিক্রেতা হলেও বেশ কিছুদিন ধরে যক্ষ্মা রোগে ভুগছিলেন তিনি। অভাবের সংসারে সরকারি হাসপাতাল থেকে ওষুধ এনেই কোনোরকমে নিজের রোগের মোকাবিলা করছিলেন সঞ্জয়। এক মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে, চার মেয়ে অভাবের কারণেই পড়াশোনা ছেড়ে ঘরে বসা। তবে, চরম দারিদ্রতার মধ্যেও কারও সাহায্য নেননি সঞ্জয় কুমার। সম্প্রতি তার শরীরিক অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়। কিন্তু দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। সরকারি হাসপাতালেও ওষুধের আকাল। এই পরিস্থিতিতে বাইরে থেকে ওষুধ কিনে খাওয়া সম্ভব ছিল না তার পক্ষে। এই অবস্থায় শেষ পর্যন্ত মারা যান তিনি।

কিন্তু আতঙ্ক আর সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কারণে তার মৃত্যুর পর সৎকারের কাজেও এগিয়ে আসেনি কেউ। শেষে চার মেয়েই কাঁধে করে বাবার দেহ নিয়ে যায় শ্মশানে। সেখানেই হয় শেষকৃত্য।

(ঢাকাটাইমস/০৫এপ্রিল/একে/জেবি)