নারায়ণগঞ্জ সিটি ও সদর এলাকা ‘লকডাউন’

প্রকাশ | ০৬ এপ্রিল ২০২০, ০৯:০০

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

এক সপ্তাহে করোনায় আক্রান্ত হয়ে নারায়ণগঞ্জে দুইজনের মৃত্যু এবং আরও নয়জনের শরীরে অচেনা ভাইরাসটি শনাক্তের পর নড়েচড়ে বসেছে জেলা প্রশাসন। করোনা মোকাবেলায় অবাধ চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে এবার কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সদর উপজেলার তিনটি থানা এলাকাকে অঘোষিত লকডাউন করা হচ্ছে।

রবিবার রাতে জেলা প্রশাসনের এক জরুরি সভায় এমনই সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ সোমবার থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকা, সদর ও বন্দর উপজেলায় কেউ অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাসা-বাড়ি থেকে বের হতে পারবে না। কেউ অহেতুক বাসা থেকে বের হলে তার উপর প্রশাসনের কঠোর অ্যাকশন চলবে।

জেলা প্রশাসক জসিমউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জরুরি সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম, সিভিল সার্জন মুহাম্মদ ইমতিয়াজ, সেনাবাহিনী ও র‌্যাবের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

সভা শেষে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম বলেন, এখন থেকে আমরা জিরো টলারেন্স। কোনো এলাকা থেকে কেউ বের হবে না। নারায়ণগঞ্জে ইনপুট আউটপুট বন্ধ থাকবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বের ও ঢুকতে পারবে না। এখন নারায়ণগঞ্জ বেশ গুরুত্বপূর্ণ এ কারণে আমরা কঠোর অবস্থানে রয়েছি। সোমবার থেকে পিপিই প্রস্তুত করা ও বিদেশি অর্ডার ছাড়া বাকি সব পোশাক কারখানা বন্ধ থাকবে। পরিস্থিতি ভালো না হওয়া পর্যন্ত আমরা কঠোর থাকব।’

পুলিশ সুপার আরও জানান, ইতোমধ্যে আমাদের মাইকিং চলছে। অলিগলি বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হবে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সেই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

এদিকে নারায়ণগঞ্জ শহরে রাত থেকেই মাইকিং শুরু করেছে প্রশাসন। এতে বলা হচ্ছে, আপনারা কেউ রাস্তায় বের হবেন না। বের হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এর আগে গতকাল দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী করোনা পরিস্থিতিতে উদ্বেগ জানান। পরে সিটি এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে লকডাউন/কারফিউ জারির জন্য প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে এ–সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি দেন সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল আমিন।

উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জে এ পর্যন্ত ১১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে একজন বৃদ্ধ ও একজন বৃদ্ধা মারা গেছেন। করোনা শনাক্তের পর নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলার রসুলবাগ শহরের পাইকপাড়াসহ প্রায় ছয় থেকে সাতটি এলাকা লকডাউন করা হয়। এসব এলাকার প্রায় আট শ‘ পরিবারকে লকডাউনের আওতায় আনা হয়।

ঢাকাটাইমস/৬এপ্রিল/এমআর